প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছেও হার বাংলাদেশের
বিশ্বকাপ শুরুর আগে হঠাৎ-ই চাপে বাংলাদেশ দল, আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও হেরেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার পর আজ আইরিশদের কাছে হার বিশ্বকাপের আগে বড় ধরনের দুশ্চিন্তা হয়েই থাকল।
এদিন ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরাজয় ৩৩ রানে। আইরিশদের দেয়া ১৭৮ রানের টার্গেটে ১৪৪ করেছে লিটনের দল। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ চোটের কারণে সতর্কতা হিসেবে খেলেননি এ ম্যাচেও। সাকিব আল হাসান ব্যস্ত আইপিএলে। মোস্তাফিজুর রহমান আজ খেললেও ব্যর্থতার প্রতীক হয়েই রইলেন।টস জিতে ব্যাটিংয়ে পল স্টারলিং-অ্যান্ড্রু বালবির্নির কল্যাণে উড়ন্ত শুরু পায় আয়ারল্যান্ড। স্টারলিংকে ফেরান নাসুম। তাসকিনের শিকার বালবির্নি। এরপর তিনে নামা গ্যারেথ ডেলানির তাণ্ডবে বোর্ডে ১৭৭ রান তোলে আইরিশরা। ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন ডিলানি।
জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড—এই তিনটি দেশের বিপক্ষে টানা তিনটি সিরিজ খেলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজ তিনটি জিতলেও বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তা ছিল ব্যাটিং। মাঝখানে ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংটা ভালো হলেও মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আবার দুশ্চিন্তা হয়ে এসেছিল সেটা। আজও পুনরাবৃত্তি হলো সেটিরই। তবে আজ বোলিংটাও হয়েছে বাজে।
তারই ফল হিসাবে খরুচে বোলিংয়ে হতাশ করেছেন মুস্তাফিজ, শরিফুল ও নাসুম। বড় টার্গেটে নড়বড়ে শুরুটা টাইগারদের। ওপেনিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থ নাইম-লিটন। ক্রেইগ ইয়াংয়ের করা প্রথম ওভারেই ক্যাচ দিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম, ৪ বলে ৩ রান করে।
পরের ওভারে নাঈমকে অনুসরণ করেছেন লিটন দাসও, জস লিটলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করেন ৩ বলে ১। বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ইয়াংয়ের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৪ বল খেলে ৪ রান করেছেন তিনি।
সৌম্য আশা জাগিয়ে ইনিংস বড় কোরতে পারেননি, আউট হন ৩৭ কোরে। ছন্দে ফেরার সুযোগ মিস করেছেন মুশফিক ও আফিফ। তবে আফিফকে থামতে হয়েছে ১৬ বলে ১৭ রানে, বেন হোয়াইটের বলে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ৫ম উইকেটে নুরুল হাসানের সঙ্গে সৌম্যর জুটিতে ওঠে ৩৬ রান।শামীম হোসেন ৭ বল খেলে ১ রান করে বোল্ড হয়েছেন সিমি সিংয়ের বলে, মেহেদী হাসান মার্ক এডেয়ারের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১২ বলে করতে পেরেছেন ৯ রান। লক্ষ্য থেকে ততক্ষণে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। সোহানের সর্বোচ্চ ৩৮ রান শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।