এসএসসি পরীক্ষার্থীর ‘মেয়ে থেকে ছেলেতে’ রূপান্তরিত
প্রাকৃতিকভাবে লৈঙ্গিক রূপান্তরের দাবি করেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার এক এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরী (১৫)। এরপর পারিবারিকভাবে তার নাম পরিবর্তন করে “আব্দুল্লাহ জিসান” রাখা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের। এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তার বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করেছে।শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান তালুকদার।
স্বজনদের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান বলেন, “কয়েক মাস আগে থেকে মেয়েটির মধ্যে মধ্যে ছেলেদের মতো একটি ভাব আসে। প্রথমে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। একবার তার বিয়েও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক পরিবর্তনের কারণে সে বিয়েতে অমত প্রকাশ করে। তখনও সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। তিনদিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার থেকে তাদের বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করে।”
স্থানীয় বাসিন্দা রানা খান বলেন, “প্রতিদিন তাদের বাড়িতে কয়েক হাজার মানুষ আসে তাকে দেখতে। সবাই কৌতুহল নিয়ে তাকে দেখছে। বেশ কয়েকদিন আগেই তার শরীরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও শনিবার থেকে তার কণ্ঠস্বরও পুরুষদের মতোই শোনা যাচ্ছে।”
তার বাবা বলেন, “স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। এখন আমার সন্তানের শারীরিক গঠন পুরুষের মতো। এছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে আব্দুলাহ জিসান। শনিবার দুপুরে তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। পায়জামা-পাঞ্জাবি কিনে দেওয়া হয়েছে।”
তার মা পারভিন আক্তার বলেন, “ছয় মাস আগে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে করতে অসম্মতি প্রকাশ করে তার রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি বললে আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরে শাশুড়ির মাধ্যমে সবকিছু শুনে বিশ্বাস করি। আল্লাহ তাকে মেয়ে থেকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছেন। আগে আমাদের দুই মেয়ে ছিল। এখন এক ছেলে ও এক মেয়ে হওয়ায় আমরা খুশি।”