নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ভয়ের কারণ নেই
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরির সুযোগ নেই। কাজেই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কারো ভয় পাওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে নির্মাণাধীন সেতুর অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতার মাধ্যমে দেশবাসীর জীবন ও সম্পদের ক্ষতির যেকোনো অপচেষ্টাকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও ঠিক সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষের দিকে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সোমবার বলেছেন, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার পর সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। দেশে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলে, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।
সেতু মন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংশয় থাকার কোনো কারণ নেই। এখানে বিএনপিরও প্রতিনিধিত্ব থাকে। এখন যে নির্বাচন কমিশন আছে এখানেও তাদের একজন দলীয় কমিশনার আছেন। যিনি প্রায়ই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। বিএনপি যে সুরে কথা বলে, তাদের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিও সেই সুরেই কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে এখানে খেলাধুলা করার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের বিষয়ে বলা আছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রশাসনিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এমনকি সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্সও দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেটা সরকারের অধীনে থাকে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজে ভাষা বিএনপির মুখে শোভা পায়। তারা ২০১৩, ২০১৪ সালে আন্দোলনের নামে সারাদেশে সহিংসতা চালিয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে, রেলের লাইন পুড়িয়েছে, এমনকি তারা ভূমি অফিস পুড়িয়েছে। তারা আসলে আন্দোলনের নামে সহিংসতা করতে চায়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করার অধিকার সকল গণতান্ত্রিক দলের রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতা হয় এবং জনগণের জানমালের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা হয় সে অবস্থায় আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের অধীনে এই দেশে আর কোনো নির্বাচন মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেছিলেন।