ফটিকছড়িতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
ফটিকছড়ির ভুজপুরে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন গার্মেন্টসকর্মী এক তরুণী। গতকাল রাতে নিজে বাদী হয়ে ভুজপুর থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকসহ আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
২০ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাতে ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউপির পূর্ব সোনাই লাল বাইন্তির পার্শ্বে রাবারবাগানে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ওই গার্মেন্টস কর্মীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার মোহাম্মদপুরে।আসামিরা হলেন- দাঁতমারা ইউপির নতুনপাড়া গণি সওদাগর বাড়ির মো: আব্দুল হকের পুত্র ও কথিত প্রেমিক আরিফ হোসেন (২৫), একই ইউনিয়নের পূর্ব সোনাই গ্রামের হুদা মিয়ার পুত্র নুর মিয়া প্রকাশ মনু মিয়া (২৫), ২ নং ওয়ার্ডের ফরিদ মিয়ার পুত্র মোঃ জাকির হোসেন (৩৫), ও কড়ই বাগান এলাকার মৃত মনা মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন প্রকাশ মহিবুলকে (২২)।তার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই কথিত প্রেমিক আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চম্পা আক্তার (২১) ছন্দনামের গার্মেন্টকর্মী হেয়াকোর তার সহকর্মী বান্ধবীর মা জনৈক জ্যোৎস্না আক্তারকে মা ডাকেন। গত ১০/১২ দিন পূর্বে জনৈক জ্যোৎস্না বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই কিশোরী । সেখানে স্থানীয় মোঃ আরিফ হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে।
কথিত প্রেমিক আরিফ হোসেন তার মায়ের কাছে নিয়ে যাবে বলে ওই কিশোরীকে গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলযোগে দাঁতমারা পূর্ব সোনাই ভাওন্তির পার্শ্বে রাবারবাগানে ভিতরে নিয়ে যায়। পরে ওই কথিত প্রেমিকসহ তার তিন বন্ধু মিলে ওই গার্মেন্টকর্মীকে গণধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসহাব উদ্দিন সিটিজি নিউজকে জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারকৃত আসমীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।