আ. লীগের মহানগর কমিটিতে পদ হারাচ্ছেন কাউন্সিলররা
ঢাকা: ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকছেনা না দল সিটি কর্পোরেশনে

র নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা। শুধু মহানগর নয়, ওয়ার্ড থেকে থানা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার পক্ষে আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে মহানগর ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দলের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে এমন সিদ্ধান্ত।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঢাকা দক্ষিণে আবু আহমেদ মন্নাফীকে সভাপতি ও হুমায়ুন কবিরকে সম্পাদক এবং উত্তরে শেখ বজলুর রহমান সভাপতি ও এসএম মান্নান কচিকে সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
বিভিন্ন ইস্যুতে গেল আড়াই মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুই সিটিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেন। তবে মহানগর নেতাদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেও হচ্ছে না কমিটি। আর আসন্ন কমিটিতে ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচিত কাউন্সিলররা কোনো পদে থাকছেন না।
মহানগর নেতারা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সেবা দিতেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, আমাদের নেত্রী চাইছেন, যারা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর হয়েছেন। তারা এলাকার মানুষকে যথেষ্ট সময় দিক। এবং সেই সঙ্গে মানুষের আস্থা অর্জন করুক।
তবে বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতা ও কাউন্সিলরদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র বলেন, আমি বিশ্বাস করি কাউন্সিলররা দায়িত্ব গ্রহণের পাশাপাশি দলীয় কাজও করবেন। সে ক্ষেত্রে দল আরও শক্তিশালী হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমাদের নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সেটা মেনে নেবে।
সিটি নির্বাচনে দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি তাদের অনেককে আনা হবে মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পদে। বাদ পড়তে যাচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলররা বলছেন, নীতি নির্ধারকরা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা কাউন্সিলর হয়েছেন। তারা-তো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। যাদের মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হয়নি। তাদেরে মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে।
পুরনোদের অগ্রাধিকার দিয়ে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় করার কথা জানান নীতি নির্ধারকরা।