১২১ নং নিজ গালুয়া মরহুম ফজলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাজাপুরে স্কুলের ভবন ও শিক্ষক থাকলেও নেই শিক্ষার্থী!

Share the post

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ১২১ নং নিজ গালুয়া মরহুম ফজলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও শিক্ষক থাকলেও নেই শিক্ষার্থী। সরজমিনে দেখা যায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই একজনও শিক্ষার্থী। অফিস কক্ষে গল্পে  মশগুল ৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। স্থানীয়রা জানায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শুধু কাগজপত্রেই আছে বাস্তবে এটাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে মনে হয় না কারন এখানে শিক্ষক আছে তবে তেমন কোন শিক্ষার্থী নেই। প্রতিদিন শিক্ষকরা সকালে স্কুলে এসে হাজির দেয় এরপর ছুটির সময় শেষ হওয়ার আগেই বাড়িতে চলে যায়। স্কুলে অডিটের সময় পার্শ্ববর্তী সিরাতুন নবী (সঃ) মডেল মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের এনে এই স্কুলের শিক্ষার্থী দাবি করে দেখানো হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজিস্ট্রার ও কাগজপত্রে ৫১ জন দাবি করলেও শ্রেনীকক্ষের হাজিরা খাতায় ৫৪ জনের নাম পাওয়া যায়। তবে নিয়মিত হাতে গোনা ৩ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে আসলেও প্রতিদিন হাজিরা খাতায় উপবৃত্তি’র জন্য শতভাগ উপস্থিতি দেখানো হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা ঃ ফাতিমা বেগম বলেন, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম তবে নিয়মিত ৩ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী আসে। কিন্তু হাজিরা খাতায় উপবৃত্তির ক্ষেত্রে সবাইকে উপস্থিতি দেখানো হয়। তবে কেনো দেখানো হয় সেটা তিনি জানেন না। উপবৃত্তি দিলেও তারা কেন স্কুলে আসে না এবং ৩০ তারিখে হাজিরা খাতায় কেন হাজিরা নেওয়া হলো না এমন প্রশ্নে তনি বলেন, আমারা শিক্ষার্থীদের টিফিনের বিরতিতে অফিস কক্ষে বসে হাজিরা দিয়ে দেই। আজকে কোন শিক্ষার্থী না থাকায় হাজিরা নেওয়া হয়নি। ওরা নূরানী মাদ্রাসায় যায় , আমরা তো ওদের জোর করতে পারি না।

এ বিষয়ে সিরাতুন নবী (সঃ) মডেল মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ১২১ নং নিজ গালুয়া মরহুম ফজলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী আমার মাদ্রাসায় পড়ে না বরং যখন ঐ স্কুলে অডিট আসে তখন আমার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের স্কুলের শিক্ষার্থী বলে কর্তৃপক্ষকে দেখানো হয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজম খান ক্যামেরার সামনে ভিডিও বক্তব্য দিতে রাজি না হয়ে জানান, স্কুলে শিক্ষার্থী না থাকলে নাই অসুবিদা কি ? আমরা তো আর কোথাও নিয়ে রাখি নাই। স্কুলের শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী নূরানী মাদ্রাসায় পড়ে। যার জন্য স্কুলে আসে নায়। তার স্কুলের শিক্ষার্থীরা কেন নূরানী মাদ্রাসায় পড়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আরবি পড়ার জন্য ওই মাদ্রাসায় যায়। রাজাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আক্তার হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কম থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এরকম উপজেলায় ৩ থেকে ৪ টা স্কুল রয়েছে। আমরা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য সুপারিশ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ঝালকাঠির রাজাপুরে পুকুর পাড়ের কাঁচা ঘাস খেয়ে মারা গেল খামারির ৬টি গরু

Share the post

Share the postমো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে পুকুর পাড়ের কাঁচা ঘাস খেয়ে একটি খামারের ৬টি গাভি গরুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আঙ্গারিয়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম (৫৬) খামারে এ ঘটনা ঘটে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা হবে বলে জানান গরুর মালিক। এ ছাড়া খামারটির আরও […]

বরিশাল বোর্ডে সেরা ঝালকাঠি জেলা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা এবারও শীর্ষে

Share the post

Share the postমো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হারে সবার শীর্ষে রয়েছে ঝালকাঠি জেলা। এ জেলায় মোট পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভোলা জেলার পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩৬। আর গত বছর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরিশাল জেলা ৮৩ দশমিক ৯৪ […]