স্বার্থ ছাড়াই হতদরিদ্র মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ালেন শামীম বিশ্বাস ও তার পরিবার
মাহবুব শুভ
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি।
স্বার্থ ছাড়াই সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ দান করলেন শামীম বিশ্বাস।
বিশ্ব যখন মরণব্যাধি নোবেল করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত, বাংলাদেশ যখন লকডাউনে পরিশ্রমই দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো যখন অর্থশূন্য ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, ঠিক তখনই একান্ত নিজস্ব উদ্যোগে নিজ এলাকায় হতদরিদ্র মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ালেন শামীম বিশ্বাস ও তার পরিবার।
সাংবাদিকদের একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন আমি আমার এলাকার সকল মাটি ও মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বড় হয়েছি আমার এলাকার আশেপাশে সব মানুষগুলোর সাথে একটি সামাজিক বন্ধনে একই পরিবারের সন্তানের মত রয়েছি।
তাই আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ঐসকল অসহায় পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি এন্টিসেপটিক সাবান, ভাইরাস মোকাবেলায় মুখমন্ডলের জন্য সেফটি মাক্স, পরবর্তীতে প্রায় দুইশত পঞ্চাশটি পরিবারের মধ্যে চাল-ডাল, পেঁয়াজ সহ মুদি মনোহরি সামগ্রী একান্তই অসহায় পরিবারগুলোর হাতে সামর্থ অনুযায়ী কিছু নগদ অর্থ তুলে দিয়েছি যা সামান্য হলেও পরিবারগুলোর জন্য কিছুদিনের খাদ্য যোগান সহায়ক হবে।
শামীম বিশ্বাস বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বাস বাড়ির মোহাম্মদ আকাব্বর আলী বিশ্বাস মাতা খোদেজান বিবি”র ৪-ছেলে ৫-মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে শামীম বিশ্বাস। তিনি লেখাপড়া শেষ করে পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে নিজ গৃহের গুরু দায়িত্ব পালন করেন জীবিকা নির্বাহের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন বসবাস করেন। পরবর্তীতে একেক করে পরিবারের সকল ভাইদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে কর্মজীবনের অংশীদারিত্ব তৈরি করেন।
অবশেষে বিদেশ ফেরত হয়ে তিনি নিজ এলাকা বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে যোগ্যতার সাথে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বর্তমানে ঢাকা বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের প্রায় দুইশত পঞ্চাশ টি অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী এন্টিসেপটিক মাক্স ও জীবাণু নাশক সাবান প্রতিটি ঘরে ঘরে বিতরণ করেন শামীম বিশ্বাস ও তাহার সহোদর ভাই মোঃ হালিম বিশ্বাস, মোঃ জাহিদ বিশ্বাস(আলীম), মোঃ নাসির বিশ্বাস, ইসলাম বিশ্বাস, বিশ্বাস পরিবারের জামাতা আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।