

ফাহাদ, সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজি ঠেকাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে চাঁদাবাজ চক্রের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীর নুনেরটেক এলাকায়।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামের বারেকের নেতৃত্বে তার ছেলে মহসিন, হাসনাত, রানা, সাজ্জাদসহ ২০-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র বালু ও মালবাহী নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে।
মঙ্গলবার সকালে বারেকের নেতৃত্বে টিটু, মহসিনসহ চক্রের সদস্যরা টেটা, বল্লম ও রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নুনেরটেক এলাকায় অবস্থান নেয়। ওই সময় তারা নদীপথে চলাচলরত বালুবাহী ও মালবাহী নৌযান থেকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ‘মেসার্স আমানুল্লাহ’ নামের বাল্কহেডের শ্রমিক মহিবুল্লাহ ও জাকারিয়াকে তারা পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে খবর পেয়ে বৈদ্যেরবাজার ও চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় চাঁদাবাজ চক্র পুলিশের ওপর হামলা চালায়, এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে চক্রের সদস্য বারেকের ছেলে রানা ও সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়।
আহত পুলিশ সদস্য ও নৌযানের শ্রমিকদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৈদ্যেরবাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজির স্থান নেই। নদীপথে নিরাপদ নৌযান চলাচল নিশ্চিত করতে যেকোনো মূল্যে এই চক্রকে নির্মূল করা হব