চার বছরের মেয়াদে মৌসুমী ড্রাগ হাউস নামের একটি ঔষধের দোকান চুক্তিনামা হয় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তার কলেজ রোড সংলগ্ন আহাদ প্লাজার মার্কেটে।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পূর্বে থেকেই শুরু হয় মানসিক টর্চার। দেওয়া হয় দোকানের সামনে ইটের স্তুপ। ব্যবসায় বিঘ্ন ঘটাতে থাকে চার দিক থেকে। অনেয্য দাবি না মানায় দোকান ছাড়ার নোটিশ দেয় মার্কেটের মালিক হারুনুর রশিদের ছেলে আরিফ মিয়া।
মার্কেটের মালিক আরিফুর রহমান (২৮) মিয়া তার ভাড়াটিয়া ড্রাগ হাউজের মালিক আ: মালেক (৪৫) মিয়াকে অযৌক্তিক আরও চার লক্ষ টাকা অগ্রিম যার পরিভাষায় (অ্যাডভান্স) ও ৫ হাজার টাকা ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হয় , অন্যথায় দোকান ছাড়তে হবে বলে বল প্রয়োগ শুরু করেন ।
মার্কেট মালিক আরিফের প্রস্তাব না খোঁজ করে তাঁর জমা থাকা অগ্রিম ১৬ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে শুরু হয় তার সাথে তাল বাহানা। দোকান ভাড়া বাবদ অ্যাডভান্স এর টাকা ফেরত না দিলে দোকান ছাড়বে না বলে জানানো হলে গতকাল বুধবার ২৮ মে রাত ৯ টার সময় মার্কেট মালিক আরিফ মিয়া দলবল নিয়ে তার ভাড়া দেওয়া
দোকানের সামনে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
স্বজনদের আহাজারিতে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে গেলে আরিফ ও তার দলবল পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ।
৯৯৯ এর সহযোগিতায় সোনারগাঁ থানা থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য এসআই একরামুল হোসাইন আসেন। ততক্ষণে অপরাধীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার এসআই একরামুল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ও আরিফ এর মার সাথে কথা বলেছি, তিনি দায় স্বীকার করেছেন, এবং বলেছেন এটা আমার ছেলে অন্যায় করেছে। সে আমার কথা শোনে না। সে যদি কথা শুনতো আজকে এই ঘটনা ঘটত না। এটার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখ প্রকাশ করছি।