সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই পরিবারের কিশোরদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজন আহত হন
আল হাবিব সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই পরিবারের কিশোরদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজন আহত হন। এরপর বুধবার (২ জুন) রাতে উভয় পরিবারের কয়েকশ লোক ফের সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে উপজেলার বাদাঘাট বাজারে অবস্থান নেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ৮টায় পূর্ব বিরোধের জেরে উপজেলার পৈলনপুর গ্রামের নানু মিয়ার কিশোর ছেলে মোরসালিনকে সোহালা গ্রামের হাজি আব্দুর নুরের ছেলে আল আমিন ও চাচাতো ভাই শান্ত বাদাঘাট বাজারে মারধর করে জখম করেন।
এরপর মোরসালিনের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে সোহালা গ্রামের শান্তর বাবা আব্দুল হেকিমের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার রেশে উভয় পরিবারের কয়েকশ লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারে ফের সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এসময় আতঙ্কে জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে বাদাঘাট। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে আব্দুল হেকিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও মোরসালিনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।উপজেলার সোহালা গ্রামের হাজি আব্দুর নুর বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে আমার ছেলে আল আমিন ও ভাতিজা শান্তকে মোরসালিন বাদাঘাট বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের ওপর হামলার ঘটনায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে’।
উপজেলার পৈলনপুর গ্রামের নানু মিয়া বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে আমার ছেলে বাজারে চটপটি খেতে গেলে সোহালার শান্ত ও আল আমিন তাকে মারধর করায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে’।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে উভয় পরিবারের সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে থাকা কয়েকশ লোক বাজার ছেড়ে যেতে বাধ্য হন’।
তিনি আরো বলেন, ‘বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে দোকানপাট খুললে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে’