সন্দ্বীপের ইউপি মেম্বারের চাল কেলেঙ্কারির–ভয়ে মুখ খুলতে চায় না কেউ।
জামসেদ আলম (সন্দ্বীপ প্রতিনিধি): সারিকাইত ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আসিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে চাল কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।জানা যায় গরীবের জন্য সরকার ঘোষিত ১০টাকার চাল বিতারনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।৩০কেজি চালের জন্য ৩০০টাকা নিয়ে মাত্র ২৪কেজি চাল দিয়ে বিদায় করছে।তথ্য নিয়ে জানা যায়,তিনি সারিকাইত ইউনিয়নের প্রকৃত ডিলার নয়।তিনি গত তিন বছর যাবত তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার নামে ডিলারশীপ নিয়ে নিজে পরিচালনা করছেন। কারো কারো কে ৩০কেজি সেলাই করা চালের বস্তা দিলেও সেই বস্তা থেকে হুকের মাধ্যমে ৩-৪কেজি নিয়ে কম দিচ্ছে।আবার কোন কোন বস্তা খুলে সেখান থেকে ২৪কেজি চাল দিয়ে বিদায় করা হচ্ছে।ভুক্তভোগীদের অভিযোগঃ গত তিন বছর চাল বিতারনে ব্যাপক অনিয়ম করে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিজানকে।বস্তা খুলে চাল দেওয়ার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ-৩০কেজি বস্তা দিচ্ছে সরকার জনগণের মাঝে ৩০কেজি বস্তা দিতে কিন্তু সেটি অমান্য করে খুলে চাল দেওয়া হচ্ছে।আমার ওয়ার্ডের দুইজনের চাল ওজন করে দেখলাম ২৪কেজি ২০০গ্রাম হয়েছে।এটার ডকুমেন্ট আমার নিকট আছে।নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অন্য এক ইউপি সদস্য বলেন মাসখানিক আগে মাসিক মিটিং এ জিজ্ঞাস করলাম চাল কত কেজি করে দেন বললেন ২৫কেজি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার পোষায় না।এটা কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধি বক্তব্য হতে পারে না।তাছাড়া ২৫,কেজি দিলে হয় ২২কেজি।তিনি আরো বলেন আসিফ মেম্বার বোপায়া ভাবে এমন অনিয়ম করে যাচ্ছে।রাজনীতিক প্রভাবে অনেক অবৈধ কর্মকান্ডে ছাড় পেয়ে যাই।১০টাকার চাল প্রাপ্ত একজন বলেন আমি বস্তা নিয়ে বাড়িতে ওজন করে দেখি মাত্র ২৪কেজি হলো।অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে আসিফ মেম্বার উড়িয়ে দিয়ে বলেনঃ-আমাদের চাল দেওয়া শেষ হয়ে গেছে এখন ফেসবুকে কিছু ফাজিল গ্রুপিং করছে।আমি আজকে গোডাইনে বলে দিয়েছি আমি আর চাল নিবো না।আমি গোডাউনে সাড়ে ১৮হাজার টাকা দিয়েছি। আপনাদের হিসাব দিচ্ছি।গোডাউনে মাপে কম দেয়,আপনারা জ্ঞানী মানুষ, সেখানে ১০টাকা করে ব্যাংকে জমা দিচ্ছি,আবার গোডাউনে ৩-৪জায়গাই দিতে হয়।সব ডিলার এভাবে দেয়।একট্রিপে গাড়ি বাড়া ৪০০০ হাজার টাকা নিচ্ছে।এমন হলে কেউ চাল নিবে না।