

মিলন বৈদ্য শুভ, রাউজান, চট্টগ্রাম: দক্ষিণ রাউজানের উত্তর গুজরা সবুজ সংঘ কর্তৃক পরিচালিত
সার্বজনীন শ্রীশ্রী জ্বালাকুমারী মাতৃমন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও বাৎসরিক পূজা মহোৎসব। ২১, ২২ ও ২৩ মার্চ তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় নানা আচার-অনুষ্ঠান, যার মধ্যে ছিল মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, নগরকীর্তন, শ্রীমদ্ভগবদগীতাপাঠ, গীতা আবৃত্তি,ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, পুরস্কার বিতরণ,
মহতী ধর্মসভা,অন্নপ্রসাদ বিতরণ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ।
মহোৎসবের শুভ সূচনা করেন রাউজান আদ্যাপীঠ মন্দিরের পৌরোহিত তপন চক্রবর্ত্তী। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধক ছিলেন কেশিঘাট শ্রীধাম বৃন্দাবন হতে আগত অধ্যক্ষ শ্রীকৃষ্ণ দাস বাবাজী মহারাজ। শ্রীমদ্ভগবদগীতাপাঠ ও গীতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ভক্তপ্রাণ মানিক চক্রবর্ত্তী, প্রধান বিচারক বিশিষ্ট গীতাপাঠক,ভাগবতীয় বক্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গীতানুধ্যায়ী ডাঃ সুপণ বিশ্বাস (শঙ্করেশ), শিক্ষানুরাগী আকাশ দেবনাথ,শিক্ষানুরাগী সুজন দাশ ও সংগঠক সুবল শীল।
মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মিটু মজুমদার,সাধারণ সম্পাদক দেবু মহাজন।
মহোৎসবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি খোকন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মহাজন,অর্থ সম্পাদক সুকান্ত মহাজন ও অন্যান্য সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন রনতোষ মহাজন ও বৃষ্টি চৌধুরী।
২২ মার্চ মহোৎসবের মূল আকর্ষণ অষ্টপ্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শুভ অধিবাস কীর্তন পরিবেশন করেন শ্রীমৎ প্রিয়ব্রত গোস্বামী (তনু) এবং শুভ অধিবাস পৌরোহিত্য করেন শ্রীল অদ্বৈত দাস বাবাজী। মায়ের পূজার পৌরোহিত্য করেন দোলন চক্রবর্ত্তী।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাত ১২টায় শ্রীশ্রী রামসুন্দর সম্প্রদায়ের শ্রীকৃষ্ণ লীলা পরিবেশনা, যা ভক্তদের আবেগাপ্লুত করে তোলে। ২৩ মার্চ মহোৎসবের শেষ দিনে নগরকীর্তন, মহানাম যজ্ঞের পূর্ণাহুতি ও বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।
এই মহোৎসব উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে, যা সমগ্র এলাকায় এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি করে।