

সাইদুর রহমান রিমন: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সাংবাদিকদের উপর ক্ষুব্ধ হতেন বলে আমরা তাদের সাংবাদিক বিদ্বেষী বলেই ধরে নিয়েছি। কিন্তু কোনো কোনো মিডিয়ার দালালির মাত্রাটা কি আসলেই সহনীয় পর্যায়ে ছিল? বেশ কিছু পত্রিকা তো রীতিমত অতিউৎসাহী সরকারি লিফলেটে পরিণত হয়েছিল। আমাদের দেশের প্রকৃত তথ্যটুকু জানতেও বিবিসি আর আলজাজিরার দিকে তাকিয়ে থেকেছেন মানুষজন। এখন বাঁচার জন্য গণমাধ্যমের কেউ কেউ বলতে চান, সরকারের চাপের কারণেই শিক্ষার্থী আন্দোলনের খবর ব্ল্যাকআউট করতে হয়েছে। এটা মোটেও ঠিক নয়, পুরোটাই ভুয়া। কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ ছাড়াই দলবাজ মালিক-সম্পাদকরা সরকারের সেরা দালাল হওয়ার প্রতিযোগিতায় নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছিলেন। তারা জনগণের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারণার ঠিকাদার হিসেবে জঘন্য ভূমিকা পালন করেছেন। অথচ দালাল গণমাধ্যমগুলো অদ্যাবধি অনুশোচনা পর্যন্ত প্রকাশ করেনি, তার মানে পক্ষপাতদুষ্ট, দালালি মার্কার সাংবাদিকতার অপকর্ম তারা অব্যাহত রাখবেন।
যাই হোক, শিক্ষার্থীরা যে গণমাধ্যম বিরোধী নয় তা যমুনা টিভিকে ভালোবাসা দিয়ে যেমন বুঝিয়ে দিয়েছে, তেমনি ঢাকার বাইরেও সে নজির দেখতে পাচ্ছি। টাঙ্গাইলে দৈনিক দেশবাংলার স্টাফ রিপোর্টার নওশাদ রানা সানভীর ছবি দেয়ালে দেয়ালে অংকন করে শিক্ষার্থীরা তাদের ভালোবাসার জানান দিয়েছে। সাংবাদিক হিসেবে সানভীকে ছাত্র জনতা তাদের আন্দোলনের পাশে পাওয়ার কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি। বাস্তবে আমরা অনেকে অবদান না রেখেই গলা বাড়িয়ে ফুলের মালা নিতে চাই, তাতে কি আর সম্মান মিলে? পাওয়া যায় কি আন্তরিকতা অভিনন্দন জানাচ্ছি প্রিয় সানভীকে, ধন্যবাদ জানাই জনগণের পক্ষে থাকার সাংবাদিকতাকে।