

ইবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ-এর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মনজুরুল হক, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ. ব. ম. সিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওবাইদুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শাহিনুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আবরার ফাহাদ ছিলেন ভারতীয় আগ্রাসনবাদী ও এদেশীয় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়েই তিনি শহীদ হন।”
তিনি আরও বলেন, “আবরার শুধু একটি নাম নয়, তিনি ছিলেন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের অগ্রসৈনিক। তাঁর আত্মত্যাগ এদেশের তরুণ সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পূর্বসূচনা ছিল আবরারের মৃত্যু। সেই অনুপ্রেরণায় দেশের যুবসমাজ ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।”
উপাচার্য বলেন, “আবরার ছিলেন দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক ও অনুপ্রেরণা। তাঁর আত্মত্যাগ এই জাতিকে শৃঙ্খলমুক্তির পথে এগিয়ে দিয়েছে। আমরা তাঁর আদর্শ ও সাহসিকতাকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়।”
উল্লেখ্য, শহীদ আবরার ফাহাদ ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েট শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার হাতে নৃশংসভাবে পিটিয়ে নিহত হন। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাঁকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—ভোঁতা বস্তু দিয়ে আঘাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। ২০২৫ সালে শহীদ আবরার ফাহাদকে মরণোত্তরভাবে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়।