লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তোড়জোড়
লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনে ১১ এপ্রিলের উপনির্বাচনকে ঘিরে জনসংযোগসহ নানা তোড়জোড় শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। অন্য দলগুলোও নিচ্ছে প্রস্তুতি। মানব পাচারের দায়ে কুয়েতে দণ্ডিত এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের পদ বাতিলের পর শুন্য হয় আসনটি।
অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২৩ জানুয়ারি কুয়েতের আদালতে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলকে। এক মাস পর পাপুলের সংসদীয় পদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ হয়। ৩ মার্চ এ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন জন সংযোগসহ নানা কর্মকাণ্ডে। এলাকায় করছে সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক, পোষ্টার ফেস্ট্টুনসহ প্রচার-প্রচারনা। ১০ মার্চ বিতরণ হবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র। দলের সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আশা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হওয়ার আশা বিএনপির মনোনয় প্রত্যাশীদের।পাপুলের উদাহরণ কলঙ্কজনক উল্লেখ করে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেয়ার আহবান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।এ আসনে ১৯ মার্চ মনোনয়ন বাছাই ও ২৪ মার্চ প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ভোট।