যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় নৌকার মাঝিকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাজশাহীর কাটাখালি বাজার থেকে রাত পৌনে ১২টায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদেরকে নাটোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতার জানান, ঘটনার দিন ৩ জন আসামি নৌকায় বসে গাঁজা সেবন করে। এরপর ফরহাদ তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তিনজন মিলে তাকে আহত অবস্থায় পানিতে ফেলে দেয়। তার মরদেহ ভেসে উঠলে তারা আত্মগোপনে চলে যায়।
তদন্ত শেষে প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৯ আগস্ট রাতে বাইজিতকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মঙ্গলবার রাতে অপর দুই আসামিকে রাজশাহীর কাটাখালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় মাঝি আরজু মিয়াকে হত্যা করে বাইজিত, ফরহাদ ও রতন। গত ২৬ আগস্ট রাতে নিখোঁজ হয় মাঝি আরজু মিয়া। পরে ২৮ আগস্ট সকালে গুরুদাসপুরের বিলশা বিল থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করে পুলিশ। পরে সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি জামিল আকতারের নেতৃত্বে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত শেষে গত ২৯ আগস্ট রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় বাইজিত বোস্তামিকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাইজিতের দুই বন্ধু ফরহাদ ও রতন পলাতক ছিলেন।নিহত আরজু মাঝি সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের কদম আলীর ছেলে।