

মীর কাশেম আজাদ,কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ দুই মাস বয়সী কন্যা শিশু নূর হাবিবার মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে এভাবেই কান্নায় কাতর আর্তনাধ করছেন চাচা আসাদুল্লাহ।
তার অভিযোগ-কথিত চিকিৎসক বাদশা আলমগীর ওরফে বি আলমগীরের দালাল সোহাগের ফাঁদে পড়ে ভর্তি হন ‘কক্স ন্যাশনাল হসপিটালে। কোন ধরণের পরীক্ষা না করে একটি এক্সরে রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে করা হয় টিউমার অপসারণের অপারেশন।
এক পর্যায়ে চিকিৎসক মাথার পেছনের একটি বড় অংশ কেটে নেন। সাথে কেটে ফেলা হয় আরও কিছু গুরুত্বপুর্ণ অংশ। ওটি থেকে বের করার কয়েক মিনিট পর মারা যায় শিশু নুর হাবিবা। তড়িগড়ি করে হাসপাতাল থেকে ২২ সেপ্টেম্বর রাতে বের করে দেয়া হয় মরদেহ ও স্বজনদের এমন অভিযোগ শিশুটির পরিবারের।
বিষয়টির সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রশাসনের সহায়তা না পেয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আসেন শিশুটির চাচা আসাদুল্লাহ। কাগজপত্রে গড়-মিল থাকায় ঘটনা যাচাই করতে ‘কক্স ন্যাশনাল হসপিটালে যান সিসিএনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের কর্মীরা।
শিশুর মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ওলট-পালট বক্তব্য দিতে শুরু করেন কথিত চিকিৎসক বি আলমগীর। তিনি সঠিক চিকিৎসাটা দিয়েছেন দাবি করলেও রোগীর মৃত্যুর কারণ তিনি বলতে পারেননি।
অপর একটি প্রশ্নে তার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত কন্ঠে সাংবাদিকতা শিখে আসার পরামর্শ দেন এই কথিত চিকিৎসক।
গেল কয়েক বছর ধরে বিতর্কিত এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে না না অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসক পরিচয় দেয়া ডিগ্রী নিয়েও সংশয় রয়েছে চিকিৎসক মহলে।
এদিকে, এসব আড়াল করতে ১১ গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কথিত চিকিৎসক বি আলমগীর। যা গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার সামিল বলছেন সাংবাদিক নেতারা।
আর তার অনিয়মের বিষয়ে জানানো হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
একই সঙ্গে দালাল সিন্ডিকেট তৈরি করে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন হসপিটাল থেকে রোগী ভাগিয়ে আনার সচিত্র অনুসন্ধ্যান চলমান রয়েছে।