

বিশেষ প্রতিনিধি:চকরিয়া পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ড সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় হানিফ ও জালাল ম্যানসন এর নীচতলায় ৭ তারিখ, শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে দিবাগত রাত ১২:৩০ মিনিটের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী জাহেদ আওয়ামী দোসর জালাল এর ছেলে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ০৭/০৬/২৫ ইং তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:১০ ঘটিকার সময় আমার মায়ের ভাড়া বাসা থেকে কুরবানি ঈদের খাওয়া দাওয়া শেষে ঘটনার দিন ০৭/০৬/২৫ ইং তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:২০ ঘটিকার সময় আমার ভাড়া বাসার গেইটের সামনে এসে গেট খোলার জন্য মালিকের ছেলেকে অনুরোধ করি সাথে সাথে মালিকের ছেলে এসে গেট খুলে,অতঃপর অশ্লীল ভাষায় অতিরিক্ত গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে মালিকের ছেলে জাহেদ আমার চুলের মুঠি ধরে টানা- হেচড়া করে।আমার মুখে,মাথায়,তলপেটে পর পর কিল,লাথি,ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও তেতলানো জখম করে এবং আমার পরনের কাপড়-চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে। আমি জখমের ফলে চিৎকার দিলে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আমার বড় বোন মিনুয়ারা বেগম (৩০) এগিয়ে এসে আমাকে জাহেদ এর কবল থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে জাহেদ আমার বড় বোনের মুখে, বুকে ও তলপেটে সজোরে পর পর লাথি মেরে বড় বোনকে মাঠিতে ফেলে বড় বোনের গলা চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং আমার বড় বোনের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের সর্ণের চেইন যার মূল্য (১ লক্ষ ৫৫ হাজার) টাকা নিয়ে ফেলে।এবং আমার বড় বোন ২ মাসের গর্ভবতী হওয়ায় তলপেটে গুরুতর জখম হয়।আমাদের শোরচিৎকারে পথচারী লোকজন এসে ঘটনা দেখতে পেলে আমাকে ও আমার বড় বোনকে জাহেদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ও বড় বোন মিনুয়ার বেগমের জখমের চিকিৎসা করেন।আমাদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় ও ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণকে অবগত করে থানায় এসে জাহেদ গং এর বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দায়ের করি।
বর্তমানে জাহেদ আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে বলতেছে আমাকে ও আমার বড় বোনকে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে দিবে না,মারবে,কাটবে, সন্ত্রাসী লোকজন দিয়ে জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। ঘটনার যথেষ্ট সাক্ষী প্রমান ও বর্ণিত ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা আছে।
পরিশেষে প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।