বখাটেদের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে প্রতিবাদ মায়ের আঙ্গুল কেটে দিল বখাটেরা
আল হাবিব ।। সুনামগঞ্জ : প্রত্যেক মেয়েই মায়ের চৌখের মনি, সেই মেয়েকে ডাক্তার বানানোর জন্য দিনরাত কষ্ট করে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন এক অসহায় মা, তার সন্তান ডাক্তার হয়ে বিনা পয়সায় গ্রামের সাধারন মানুষের চিকিৎসা করবেন সেটাই তার আশা, কিন্তু সেই মেয়ে যখন পথে বখাটে ছেলেদের কাছে উত্ত্যক্তের শিকার হয় তখন কোন মা ওই চুপ করে বসে তাকতে পারেন না, সেই মা যখন মেয়েকে ওই বখাটে ছেলেদের হাত তেকে বাঁচাতে প্রতিবাদ করেন তখন ওই বখাটেরা ওই মাকে অমানবিক নির্যাতন করে তার ডান হাতের বুড়ি আঙ্গুল কেটে দেয়।
এটা কোন মনগড়া গল্প বা সিনেমার ছবির কাহিনী নয়, বাস্তবে ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। এ ঘটনার পর রোববার (২৯ নভেম্বর) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারীর দেবর। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে প্রথমে ছাতক কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) খোজ নিয়ে জানা যায়, ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী হাছান আহমদের স্ত্রী রুনা বেগম গোবিন্দগঞ্জে যাওয়ার জন্য তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গত শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তার অপরপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামের আবদুল মন্নানের ছেলে আনোয়ার ও মৃত মসই আলীর ছেলে মিন্টু মিয়া স্কুলপড়ুয়া মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে। কেন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে এর প্রতিবাদ করে উত্ত্যক্তকারীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মা। এ সময় বখাটেদের সহযোগীরা ওই নারীর ওপর হামলা চালিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। বখাটেরা ওই নারীকে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে ডান হাতের হাড় ভেঙে একটি আঙ্গুল কেটে দিয়েছে। পরে গত রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রবাসীর সহোদর কবি হোসাইন আহমদ বাদী হয়ে গ্রামের আবদুল মন্নানের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো নাজিম উদ্দিন জানান, বখাটেরা মায়ের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে এটা সত্যি খুব দুঃখ জনক, আমরা আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি, যে কোন সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।