আন্তর্জাতিক: পর্নো আসক্তি মানুষের ব্রেনকে ধ্বংস করে দেয়। অবশেষে তা বুঝতে পেরেছেন ২০ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী এবং গীতিকার বিলি ইলিস। শনিবার তার বয়স ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এদিন তেমন কোনো আয়োজন ছিল না। তবে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি কেকের ছবি প্রকাশ করেছেন রোববার। আর বাড়িতে কিছু আলোকসজ্জা ছিল। ‘ব্যাড গাই’ গানের এই শিল্পী নিজের পর্নো আসক্তির কথা নিজেই স্বীকার করেছেন এদিন। বলেছেন, মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই পর্নো ছবির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি আমি।
তারপর একটানা এসব ছবি দেখেছি। বলেছেন, এ জন্য এখন নিজের ওপর ভীষণ রাগ হয়।
পর্নো আসক্তি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এখন মোবাইল ইন্টারনেট আর স্মার্টফোনের সুবাদে অনেক টিনেজ এমনকি শিশুর সামনে পর্যন্ত খুলে যাচ্ছে এসব জগত। তার ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় চোখের সামনে বিজ্ঞাপন আকারে অথবা অন্য কোনো উপায়ে দেখা দিচ্ছে পর্নো।
এ থেকে তাদেরকে রক্ষা করা প্রয়োজন। বিলি ইলিস বলেন, একজন মেয়ে হিসেবে আমি মনে করি পর্নো ছবি হলো একটি অসম্মানের বিষয়। সাংবাদিক হাওয়ার্ড স্টার্নের সঙ্গে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, সত্যি কথা বলতে কি, আমি প্রচুর পর্নো ছবি দেখতাম। আমি এখন মনে করি, বাস্তবেই তা আমার ব্রেনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন আমি ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাই এই ভেবে যে, আমি এত বেশি পর্নো আসক্ত ছিলাম। এসব পর্নো আসক্তি এবং এসব ছবি দেখার কারণে টিনেজ, যুবক বা প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যেও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিলি ইলিসের এমন সরল স্বীকারোক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্নো তারকা র্যান্ডি স্পিয়ার্স (৬০)। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি পর্নো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। একটি মার্কিন অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি পর্নো জগতের বিরুদ্ধে বিলি ইলিসের স্বীকারোক্তি এবং মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন। র্যান্ডি স্পিয়ার্স বলেন, আমরা যখন কম বয়সে থাকি বা তরুণ বয়সে থাকি তখন পর্নোকে হজম করে নেয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের ব্রেনের থাকে না। কে চায় তার ৭ বছর বয়সী কন্যা বা ছেলে পর্নো দেখুক, যেখানে কয়েকজন নারী সাতজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে লিপ্ত? এ সময়টা হলো ব্রেনের বিকাশ লাভের সময়।