

আশিকুর রহমান, নরসিংদী :- নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নজরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ফের দু’পক্ষ সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একব্যক্তি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহত সাইফুল ইসলাম (১৮) ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। অপরদিকে এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুত্বর আহত রবিউল্লাহর ছেলে রাহাতকে (২২) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দুই পরিবারের মধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভোরে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্য মানিক মিয়া (৫৫) ও ভাগনি কল্পনা বেগম (২৫) নিহত হন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন -অর-রশিদের সমর্থকদের মাঝে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় সাইফুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গুরুত্বর আহত হন রাহাত। তারা দু’জনই আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক। গ্রেপ্তার এ্রড়াতে উভয় পক্ষের আহতরা গোপনে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীগত পূর্বশত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা-মামলা চলছে। হঠাৎ করেই সকালে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামে একব্যক্তি নিহত হয়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি। এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।