নতুন ধানের ঘ্রাণে চলনবিলের উপর অঞ্চলের কৃষকদের মুখে সুখের হাঁসি।
কাওছার আহমেদ ।। ডাহিয়া প্রতিনিধি সিংড়া-নাটোর : প্রকৃতির নানা প্রতিকুলতার সঙ্গে পাঞ্জালরে চলনবিলের উত্তর জনপদের কৃষকদের মুখে এখন সুখের হাঁসি। সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়ন মুলত দুটি অংশে বিভক্ত,উত্তর অঞ্চল ও দক্ষিণ অঞ্চল। এ বছরের আগাম বন্যায় শুরুতেই উপরথেকে নেমে আসা ঢলের পানি ডুবিয়ে ফেলে দক্ষিণ অঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির উৎপাদিত ধান ও ভুট্টা সহ নানা ফসল।এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় লক্ষ লক্ষ টাকার পরিপক্ক ফসল।
অসহায় হয়েপরে শতশত পরিবার। বন্যার পানি বিপদ সীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বানভাসি হয় হাজার হাজার মানুষ, ভাষিয়ে নেয় শতশত ঘর বাড়ি। বন্যার পানি দীর্ঘ সময় অবস্থান করার পরে যখন বিপদ সীমার নিচে নেমেযায়,ঠিক তার পরবর্তী সময়ে চলনবিলের কৃষকগণ অনেক মুল্যতে চারা সংগ্রহ করে এ অঞ্চলের শত-শত হেক্টর জমিতে রোপা ধান রোপন করে।কিন্তুু বিধি যেন আবারো বাম।ধান রোপনের এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যায় আবার ভাসিয়ে নিয়ে যায় চলনবিলের প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির রোপা ধান ওঅন্যন্ন ফসল।
পথে বসে শত-শত অসহায় কৃষক। অবশেষে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে ডাহিয়া ইউনিয়নের উত্তর জনপদের কৃষকগন পুনরায় রোপন করে বিভিন্ন প্রকার রোপা ধান।অনেক পরিশ্রমের পর নিজেদের কষ্টে উৎপাদিত ফসল এখন উঠছে কৃষকের ঘরে। বিগত বছরের চাইতে এবার ধানের ফলন বেশি আবার তুলনা মুলক মুল্য বেশি।দেশে গো খাদ্যপর অভাব তাই খড়ের মুল্য প্রতি বিঘা ৩০০০/৩৫০০টাকা।তাই ডাহিয়ার
বড়গ্রাম,তাড়াই,একশিং,মষিগাড়ী,ভিংড়ী,কঞ্চিভাদ্রা,পিপলশন,কৈডালা,সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষক পরিবারে ঘরে ঘরেএখন খুশি আর আনন্দের উৎসব।