ডায়াবেটিস রোগীদের মুখ ও দাঁতের সমস্যা সাধারণের তুলনায় বেশি
বিশ্বে প্রায় দুই শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বাংলাদেশে এর সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। এ রোগে আক্রান্তদের মুখ এবং দাঁতের সমস্যা, সাধারণের ঝুঁকির তুলনায় বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁতের রোগে আক্রান্ত না হলেও, ডায়াবেটিক রোগীদের ছয় মাস পরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আট বছর ধরে ডায়াবেটিকসে ভুগছেন রেজাউনুল হক মিজান। শরীরের অন্যান্য রোগ-বাইয়ের নিয়মিত চিকিৎসা করালেও অবহেলা করেছেন দাঁতের ক্ষেত্রে। এখন ভোগছেন দাঁত নিয়েই।
অধিকাংশ ডায়াবেটিক রোগীই মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, দাঁত ব্যাথাকে প্রাথমিক অবস্থায় অবহেলা করেন। এসব রোগীর মুখ শুষ্ক আর নি:সৃত লালাতে বেশি সুগার থাকায়, দাঁতের গর্তে বেশি জীবানু থাকে, মাড়ির রোগ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে বেশি।
রেজাউনুল হক মিজান বলছেন, দাঁতের গোড়াগুলো অনেক সময় ফুলে যায়। তারপরে দাঁতের গোড়াতে পাথর হয়। জিহ্বাতে সাদা সাদা ফাঙ্গাসের মত হয়। ডায়াবেটিসের কারণেই দাঁতের এই সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে।
এ রোগে আক্রান্তদের সহজেই সংক্রমন হতে পারে, ভালো হতেও সময় লাগে বেশ। তাই দাঁতের সামান্য ব্যথা বা অস্বস্তি হলেই অবহেলা না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হোসনে আরা বেগম বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে নিয়মিত। কমপক্ষে ৬মাস পর পর চেকাপ করতে হবে। যদি মাড়ির গোড়া পরিষ্কার করতে হয় করবে, যা লাগবে চিকিৎসকের পরামর্শে চললে ভালো থাকবে। এছাড়াও প্রতিদিন রাতে দাঁত ব্রাশ করে শোবে।
ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কাদের বলেন, ডায়াবেটিস হলে দাঁতকে ধরে রাখে যে লিগামেন্ট সেটা লুজ হয়ে যায়। দাঁতের গোড়ায় ময়লা জমে লুজ হয়ে গেলে দাঁত নরে যায়।
ডায়াবেটিক রোগীদের দাঁতের চিকিৎসা সময়মতো না করালে মাড়ির নিচের অংশ সংক্রমিত হয়ে ধীরে ধীরে দাঁতের হাড় ক্ষয় হয়। তাই দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি রোধে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ ডেন্টিস্টদের।