ডাঃ রনজিৎ কুমার গং কতৃক,চাঁদাবাজী,হুমকি,ধামকি মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি প্রতারণার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন।
রাজু আহমেদ (নীলফামারি জেলা প্রতিনিধি): সৈয়দপুরে ডক্টরস হসপিটাল এন্ড কার্ডিকেয়ার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রণজিৎ কুমার বর্মনসহ একাধিক ব্যক্তির মামলা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কস্থ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ তুলে ধরেন হোসেন তাহমিদ ইমাম। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রসবকালীণ এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি চক্র হসপিটাল কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নীলফামারীর তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. রণজিৎ কুমার বর্মনের প্রশ্রয়ে প্রতারনার আশ্রয় নেয়। তারা ওই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে একের পর এক মিথ্যা ঘটনার অবতারনা ঘটায়। তাদের কথিত অভিযোগকে পূঁজি করে সাবেক সিভিল সার্জন ডক্টরস্ হসপিটাল এন্ড কার্ডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের কাছে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে হসপিটালটি বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন দপ্তর তাদের তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাননি। ওই চক্রটির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন তাহমিদ ইমাম বাদি হয়ে দুটি ভিন্ন মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সৈয়দপুর, নীলফামারীতে দায়েরকৃত একটি মামলায় বিবাদী করা হয় পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন, জেলা প্রশাসক, নীলফামারী, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। অপর মামলায় বিবাদী করা হয় এইচ এম নুরুন নবী চৌধুরী, পিতাঃ মৃত. জমির আলী, সালেহা বেগম, স্বামীঃ এইচ এম নুরুন নবী চৌধুরী ও মোছাঃ মাহমুদা সুলতানা সুমি, পিতাঃ এইচ এম নুরুন নবী চৌধুরী, সাং-উপজেলা রোড, সৈয়দপুর, নীলফামারী। হসপিটালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ডক্টরস্ হসপিটাল এন্ড কার্ডিকেয়ার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারটি স্বাস্থ্যসেবায় সৈয়দপুরবাসীর একটি আস্থার ঠিকানা। এখানে কোন রোগীর সাথেই অবহেলামূলক আচরণ করা হয় না বরং শতভাগ আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।