জাল টাকার ‘জাল’ চট্টগ্রামে, টার্গেট অনলাইন ব্যবসা
চট্টগ্রাম সংবাদ: বাগেরহাট জেলায় ছাপানো জাল টাকা খরচ করা হয় চট্টগ্রামে। তাও আবার অনলাইন কেনাকাটায়। অনলাইনে মোবাইল ফোন বিক্রি করে জাল টাকায় দাম পরিশোধের অভিযোগ পেয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
আটকরা হলেন মহিউদ্দিন আল আজাদ ওরফে মহিন খান ও মারুফ মোল্লা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) মো. হামিদুল আলম তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
মো. হামিদুল আলম বলেন, সম্প্রতি আমেরিকা ফেরত নগরীর চন্দরপুরার এক বাসিন্দা ৮০ হাজার টাকায় তার একটি মোবাইল সেট বিক্রি করেন অভিযুক্ত মহিউদ্দিন আল আজাদ মহিনের কাছে। মহিন ৭৮ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করে মোবাইল বুঝে নেন। কিন্তু ওই বিক্রেতা পরে বুঝতে পারেন ৭৮ হাজার টাকার পুরোটাই ছিল জাল নোট। তিনি কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট মহিনকে বন্দর এলাকা থেকে আটক করে।
মহিন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন অনলাইন কেনাকাটায় তার আরও কিছু সহযোগীসহ এই প্রতারণা করে আসছে। এর আগে হালিশহর থানায় মহিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। মহিনকে আটকের পর তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জাল টাকায় কেনা ল্যাপটপ, একাধিক মোবাইল সেট ও ৩৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
মহিউদ্দিন আল আজাদ মহিন খানের দেওয়া তথ্যে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর এলাকা থেকে জাল তিন লাখ টাকার নোটসহ মারুফ মোল্লাকে আটক করে। মারুফ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, টাকা ছাপানো চক্রের হোতা আগ থেকে আটক হয়ে কারাগারে আছেন। তারা আগে ছাপানো স্টকে থাকা জাল নোট বাজারে ছেড়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. হামিদুল আলম জানান, এই চক্র লেনদেনের কখনও পুরোটাই জাল টাকা ব্যবহার করেন, আবার কখনো বেশি টাকার মাঝে পাঁচ-সাতটা মিশিয়ে লেনদেন করেন। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, আটক হওয়া মহিউদ্দিন আল আজাদ চট্টগ্রাম নগরীতে মডেল হিসেবে পরিচিত। ফেইসবুকে মহিন খান, ফাহিম খানসহ বিভিন্ন নামে ভূয়া আইডি খুলে প্রতারণা করেন। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মৃত শামসুল আলমের ছেলে। মারুফ মোল্লা বাগেরহাট সদরের মৃত মাহবুব মোল্লার ছেলে।