“জাতীয় উন্নয়নে আমাদের প্রধান অন্তরায় প্রতারণা”
মোহাম্মদ রেজাউল করিম (চট্টগ্রাম প্রতিনিধি): ছাত্র অবস্থা থেকে সরাসরি প্রবাসে গিয়ে আমার কর্ম জীবনের শুরু। অনিচ্ছাকৃত প্রবাস জীবন হলেও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি অনেক। দুই যুগের বেশী সময় প্রবাসে ব্যয় করেছি। আমরা যারা প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রবাসে ছিলাম, আমাদের মধ্যে সবার সম্পর্ক ছিল আন্তরিক। গুটি কয়েক দুষকৃতকারীরা পাসপোর্ট এবং নাম পরিবর্তন করে বিদেশে পালিয়ে গেলেও তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। আসলে দেশে বলেন কিম্বা বিদেশে, আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ খুবই ভালো।
সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ সহজ সরল এবং এই সহজ সরল মানুষ গুলো প্রতারকদের দ্বারা প্রতারিত হতে হতে, তাদের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব বাসা বেধেছে। এই যে প্রতারণা এবং আমাদের মস্তিষ্কে একের প্রতি অন্যের নেতিবাচক ধারনা, এটি খুবই ভয়ঙ্কর একটি বিষয় এবং আমাদের জাতীয় অগ্রগতির জন্য হুমকি স্বরূপ।
কেউ যখন কারো দ্বারা প্রতারিত হয়ে মন্তব্য করেন, তখন তিনি কিন্তু সকলকে মিলিয়ে বলেন “আমরা বাঙালিরা মানুষ ভালো না” এই কথা আমার কাছে খুবই বেদনা দায়ক।
“একের অন্যায় দশের দুর্নাম” আসলে আভ্যন্তরীণ সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতারণা আমাদের অনেক গুলো সমস্যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। এই সমস্যা, এখন ব্যাপক আকারে বিস্তৃত।
জাতীয় সুনাম অর্জন, অনেক বড়ো একটি বিষয়। বঙ্গবন্ধুর কারণে আমারা স্বাধীনতা পেয়েছি। তার সুযোগ্য উত্তরাধিকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোকিত এখন এই বাংলাদেশ।
আলোকায়নের এই অগ্রযাত্রা সফলতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সমস্যা আসবে সমস্যা থাকবে। আসল সমস্যা কোথায়, আমাদের চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগুতে হবে। এই বাংলার মানুষ সব ই পারে, প্রয়োজন শুধু সঠিক নেতৃত্বের।
প্রতারণার অভিশাপ থেকে দেশের নাগরিকদের রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। প্রতারণার কারণে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন, বাঁধা গ্রস্হ। বর্তমান এই ডিজিটাল বাংলাদেশে, প্রতারণা প্রসঙ্গে জনগণের মতামত যাচাই করা কঠিন কিছুই নয়। এগিয়ে যেতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করে, সে সমস্যা মোকাবিলা করা নীতি নির্ধারকগণের নৈতিক দায়িত্ব। দেশের মানুষের ভালোবাসা এবং আস্থা অর্জন করা কঠিন কিছুই নয়। এই আস্থা অর্জনের প্রথম সূত্র হোক প্রতারণার বিরুদ্ধে অভিযান।