চুনতি ইউনিয়নে নির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ভরসা ছিল সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। তবে গাড়ি এসে পৌঁছানোর আগেই ক্ষয়-ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে যেত। তাই উপজেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের। অবশেষে পূরণ হয়েছে সে দাবি। প্রায় শেষ হয়েছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ। চুনতি ইউনিয়নে নির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
লোহাগাড়া বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিজান মহানগর নিউজকে বলেন, লোহাগাড়ায় অতীতে বহু অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু লোহাগাড়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে খবর দেওয়া হতো। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে আসতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেতো। এখন আমাদের সন্নিকটে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নির্মিত হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমরা উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।
চুনতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে। উদ্বোধনের বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের মাননীয় সাংসদ ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই উদ্বোধন হবে।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু মহানগর নিউজকে বলেন, সাধারণত লোহাগাড়া উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলনামূলক বেশি। এখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আমাদের সাতকানিয়া উপজেলার সাহায্য নিতে হয়।
তবে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে আসার আগেই অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় খুব সহসা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
তবে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম দক্ষিণ ) মো. ফারুক হোসেন সিকদার মহানগর নিউজকে বলেন, লোকবল এখনো নিয়োগ হয়নি। এখনো মাটি ভরাট, কিছু ঢালাই কাজ, আর ড্রেনের কাজ বাকি আছে। সেগুলো ঠিকাদার সংস্থা এখনো শেষ করতে পারেনি। আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছি। আশা করছি আগামী মাসে উদ্বোধন করতে পারবো।