চট্টগ্রামে নটরাজ সঙ্গীত একাডেমীর ১৩ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন সম্পূর্ণ
রুমেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম উত্তর পতেঙ্গার নটরাজ সঙ্গীত একাডেমীর ১৩ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছেন একাডেমীর শিল্পী, পরিচালক, শিক্ষার্থী এবং কলাকুশলীরা। ১৬ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে প্রদীপ জ্বালিয়ে বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আগত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও উক্ত সঙ্গীত একাডেমীর পরিচালক সুমন তালুকদার। নটরাজ সঙ্গীত একাডেমীর পরিচালক সুমন তালুকদার এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বেতার এর অনুষ্ঠান ঘোষক আবুল মাসুদ তালুকদার এর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু। বিশেষ অতিথি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজিত রায়, চট্টগ্রাম মঞ্চ সংগীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি ও চট্টগ্রাম বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আলাউদ্দিন তাহের। এ সময় উপস্থিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণসহ একাডেমীর পক্ষে বিশেষ উপহার সামগ্রী অতিথিদের হাতে তুলে দিয়ে বরণ করে নেন নটরাজ সঙ্গীত একাডেমীর শিক্ষার্থীরা। একাডেমীর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরিচালক সুমন তালুকদারকে সাম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দরা নটরাজ সঙ্গীত একাডেমীর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও ক্রেষ্ট বিতরণ করেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে কন্ঠশিল্পী আলাউদ্দিন তাহের এই সঙ্গীত একাডেমীর সব সময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে বলেন, সঙ্গীত শিল্পীদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সব সময় পাশে অঙ্গীকার আমার চিরকালের। সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন যারা করেন তারা আমাদের আলাদা কেউ কখনোই ছিল না আর থাকবেও না। এ ধরনের একাডেমীর পাশে চট্টগ্রাম মঞ্চ সংগীত শিল্পী সংস্থা ও চট্টগ্রাম বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সংস্থা সবসময় পাশে থাকবে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজিত রায় বলেন, শিল্পী হলো দেশ ও জনগণের সম্পদ। আর তাদেরকে অনুশীলনের মাধ্যমে পারদর্শী গড়ে তুলতে একাডেমীক শিক্ষার বিকল্প নেই। গান আর নৃত্য পরিবেশন করা দোষের কিছু নয়, এটাই স্বাভাবিক। বিনোদন নিতে হলে দুটোকে সম্মনয় করে একাডেমীর মাধ্যমে সুশিক্ষা অর্জন সম্ভব। অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু নটরাজ সঙ্গীত একাডেমীর জন্য শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, শিল্পীরা কখনো কারো কাছে কখনোই হাত পাতে না। শিল্পীরা সব সময় একটু অভিমানী। করোনা মহামারীতেও গান ও নৃত্য শিল্পীদের অনেকেই না খেয়ে মানবতার জীবন যাপন করতে আমি দেখেছি কিন্তু হাত পাততে দেখিনি। তাই শিল্পীদের একাডেমীক শিক্ষার বিকল্প নাই। একাডেমীর পরিচালক সুমন তালুকদার জানান, ২০০৪ সাল থেকে এ একাডেমীর প্রতিষ্টাতা হলেও ভাঙ্গাচড়ার মধ্যে দিয়ে ১৩ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করছি। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে এ একাডেমী পরিচালনা কালে। তারপরও স্বার্থক হয়েছে এই ভেবে চট্টগ্রামের গুণীজনদের সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি। আজ নিজেকে গর্বিত মনে করছি। উক্ত বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান ছন্দে আনন্দে শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে সমাপনী করা হয়।