গোপনে মানবতার পাশে :জিএস গোলাম রাব্বানী
সাইফুল ইসলাম তাহসান: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পুরো বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান পাঠ ছাড়া সব ধরণের দোকান পাঠ বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। এমন সময় নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন ডাকসুর জিএস গোলাম রব্বানী। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ডাকসুর এই নেতা। নিজস্ব ফান্ড থেকে গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খেটে খাওয়া অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্য বিতরণ করছেনডাকসুর জিএস। তাকে সহযোগীতা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের অবলা প্রাণীগুলো খুব বিপদে আছে, তাই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত বিভিন্ন ককুর বিড়ালদের মুখে একটু খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন। এসব খাবার মধুর ক্যান্টিনে রান্না করা হয় এবং পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত কুকুর বিড়ালদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী ক্যাম্পাসলাইভ২৪-কে বলেন, “ক্যাম্পাস সহ পুরো বাংলাদেশ লকডাউন। ঢাকার ছিন্নমূল মানুষজন অন্যান্য সাধারণ মানুষদের উপর নির্ভর করতো। এখন তাদের এই পথ বন্ধ। তাই ডাকসুর জিএস হিসাবে আমি তাদের একটু সহযোগিতা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। সেই জায়গা থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তাই একজন মানুষ হিসেবে, মানবিক দায়িত্ব থেকে আমি নিজ ফান্ড থেকে তাদের মধ্যে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করি।” তিনি আরো বলেন, “ক্যাম্পাসের কুকুর বিড়ালগুলো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করতো। এখন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও অন্যরা না আসায় তাদের খাবারের পথও বন্ধ। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা কুকুর-বিড়ালগুলো যেন অভুক্ত না থাকে সে জন্য প্রতিদিন মুরগির গোস্ত রান্না করে কুকুরগুলোক নির্ধারিত স্থানে এসব খাবার দেয়া হয়। খাবার মধুর ক্যান্টিনের পাশে রান্না করা হয়।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তার এই সহায়তামূলক কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ থেকে এই কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছেন ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, রিক্সা, দিনমজুর,পথশিশু এবং ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ৫০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১০০০ ফিল্টার মাস্ক, ৫০০ জীবাণুনাশক ডেটল সাবান ও ৫০০ হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করা হয়। ২৬ মার্চে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেছেন তিনি। ২৭ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় শতাধিক ছিন্নমূল মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিতরণের সময় স্বেচ্ছাসেবকরা করোনা ভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সুরক্ষিত কাপড় পরিধান করেন। এবং যাদের মধ্যে বিতরণ করা হয় তাদের মাঝে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়।