সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা : খালিয়াজুরীতে অনিয়ম দুর্নীতি আখড়ার কারিগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অজিত বরণ সরকার। চাওয়া থেকে পাওয়াটা বেশী হলে এমনই হয়। খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন,আমলাতন্ত্র রাজনীতি আর এই আসনের লুপ্তরাজ সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের ক্ষমতার দাপটে তিনি হয়ে গেলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তখন একটা স্লোগান ছিল, মানি না, মানবো না। এনিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছিল,এমনকি আওয়ামীলীগ সম্মেলনে ভাংচুর ও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সাজ্জাদুল হাসানের ক্ষমতার দাপটে সভাপতি তিনিই হলেন। কিছুদিন পরে তার নামে আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে বানিজ্য ও লুটপাট এর একটি পোস্ট ও করে ছিলেন, খালিয়াজুরী উপজেলা প্রেসক্লাবে সভাপতি স্বাগত সরকার শুভ। এই পোস্ট আমার কাছে স্কিন সর্ট আছে বলে জানান সাংবাদিক ইঁদু খান। এবং এই সভাপতির অনিয়মের অনেকের রিপোর্ট ও আছে। যাই হোক, দলীয় প্রসঙ্গে আমি কথা বলতে রাজি নয়। অজিত বরণ সরকার সভাপতি হওয়ার কিছুদিন পরেই শুরু হয়, খালিয়াজুরীতে নৌ পথে চাঁদাবাজি, ধনু নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পি আইসি বানিজ্য, জলমহাল বানিজ্য। এছাড়াও বিভিন্ন অফিসে বানিজ্য, প্রধানমন্ত্রী দেওয়া উপহার লুটপাট। এমপির বরাদ্দ লুটপাট। এক কথায় অল্প কিছুদিনেই তিনি অনিয়ম দুর্নীতি আখড়া তৈরি করে ছিলেন সভাপতি অজিত বরণ। সাংবাদিক ইঁদু খান তার ফেইসবুকে লিখেছেন, শেষ পর্যন্ত গত বছর খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের আমার নিজ গ্রাম বলরামপুরের কয়েকটি ডুবা দুলাল চন্দ্র সরকারের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক লিজ দিয়ে তারা নিজেরাই টাকাটা ভাগাভাগি নিয়ে যায়। এটা আমরা গত দুদিন আগে জানতে পারলাম। এমন অনিয়ম দুর্নীতি জন্য, বলরামপুর গ্রামবাসী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।