কোটার মামলা : হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর আবেদন শুনানি কাল
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদন শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ঠিক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।এর আগে সকালে আবেদন দায়ের করার জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তারা। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হলফনামা করার অনুমতি দেন। অনুমতির পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনটি দায়ের করা হয়।
আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভুইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।আদালতে দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান।শুনানির পর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ আবেদন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে নয়। তিনি বলেন, দুইজন আবেদনকারী আবেদন করেছেন। আরও একজন আবেদনকারী হিসেবে যুক্ত হবেন। আবেদনকারীদের বক্তব্য হচ্ছে- একদিকে আন্দোলন হচ্ছে, অন্যদিকে হাইকোর্টের রায় হয়েছে, তাই এর একটি জাস্টিফিকেশন হওয়া দরকার।
শাহ মঞ্জুরুল বলেন, আমরা আপাতত রায়টা স্থগিত চাচ্ছি। আমরা চাই এই বিষয়টির একটি সম্মানজনক সমাধান হোক। আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবো।তিনি বলেন, চেম্বার আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বুধবার শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহাল করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।পরে রাষ্ট্রপক্ষ রায়টি স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত ৯ জুন আবেদনটি শুনানির জন্য ৪ জুলাই নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। ৪ জুলাই হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়নি। তবে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ‘নট টু ডে’ (আজ শুনানি নয়) আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।