সাজ্জাদুল ইসলাম হৃদয় ।। কুমিল্লা প্রতিনিধি : নগরীর রাজগঞ্জ, রাণীর বাজার ও বাদশামিয়া বাজারে ঘুরে তরকারির উর্ধ্বমূখী দাম দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছে অতিবৃষ্টির কারণে পাইকার বাজারেও দাম বেশী, ফলে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, ঢেঁড়স ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা। দেশী সিম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০। মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে বেড়ে ৪০, পটল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা বেড়েছে।
এছাড়াও লাউ প্রতিটি ৭০-৮০, পেপে কেজি ৪০, আলু ৪৫-৫০, ছোট বাঁধা কপি প্রতিটি ৪০, ফুল কপি প্রতিটি ৩০ টাকা, গাজর ৬০-৭০, বরবটি ১০০, গোল বেগুণ ৬০, শশা ৫০-৬০, লতি ৭০, মিষ্টি কুমাড়া কেজি ৫০, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, লেবু প্রতিটি ৫-৭ টাকা, কাঁচা কলা ৬-৮ টাকা। রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান বলেন, আমার নিমসার বাজার থেকে পাইকারি তরকারি ক্রয় করি। যাতায়াত খরচ, বাজার খরচ, নিজের খরচসহ নানা কারণ দাম বেড়ে যায়। এখন প্রতিযোগীতার বাজার, যে কম দামে বিক্রি করবে, মানুষ তার থেকেই কিনবে। কিন্তুু সেটা হয়ে উঠে না।
অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে দাম বেড়ে গিয়েছে। যদি শীতে নতুন তরকারি আসে তাহলে হয়তো দাম কমতে পারে। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলার সহকারি পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, কাঁচা বাজারের দাম পাইকার বাজারের উপর নির্ভর করে। আমরা যখন অভিযান পরিচালনা করি, তখন খুচরা ব্যবসায়ীদের পাইকারি ক্রয় রশিদ দেখি। যদি তা দেখাতে না পারে বা অতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগ পাওয়া যায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।