কিশোরগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলাদিয়ে বিপাকে জিয়া এন্টারপ্রাইজ
রাজু আহম্মেদ ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন জিয়া এন্টারপ্রাইজ। মামলা দায়েরের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও গেফতার হয়নি আসামী। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের দেখেও দেখছেনা। উল্টো ঠিকাদার জিয়া কে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামিরা।এর ফলে বাদী জিয়া চরম বিপাকে পড়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, জিয়া এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি চাঁড়ালকাটা নদীর খননকৃত ৩১ নম্বর লটের বালু নিলামে টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করেন।সেই ক্রয় কৃত বালু পরিবহন করার সময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল স্হানীয় কেল্লাবাড়ি বাজারে ৪ টি বালুর ট্রাক আটকে দেয়।আটককারীরা তাদের দাবী বালু পরিবহন করতে হলে তাদের তিনলক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। নাদিলে তারা বালু নিয়ে যেতে পারবেনা।
আটককৃত বালুর ট্রাকের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে চালকদের মারপিট করেন চাঁদাবাজরা।সঙ্গে সঙ্গে জিয়া এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার তাঁর ম্যানেজারের মাধ্যমে ট্রাক আটকিয়ে চাঁদা দাবির খবর পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশ ঘঁটনাস্থলে গেলে চাঁদাবাজরা ভয়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে ওই চাঁদাবাজরা গত ১৬ জুলাই রাত ১২ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বালুর পয়েন্টে গিয়ে চাঁদার টাকা না দিলে ঠিকাদার জিয়া কে হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়াও চাঁদাবাজরা বালু পরিবহনের রাস্তা খুড়ে গাছ ও খুটি গেড়ে প্রতিবন্ধকতা সুষ্টি করেছে ।
এ ঘঁটনায় ঠিকাদার জিয়াউর রহমান জিয়া বাদী হয়ে ৯ জনকে নামীয় আসামী করে আরো ১০ থেকে ১২ জনকে অঙ্গাত আসামী করে গত ১০ আগষ্ট কিশোরগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, চাঁদাবাজদের অব্যাহত হুমকিতে আমার জীবন বর্তমান সংকটাপন্ন। তিনি আরো বলেন আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের দেখেও দেখছেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, মামলার তদন্ত চলছে । বাদীর অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাথে কথা বলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা(এসআই) আক্কেল আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা তৎপর রয়েছি। খুব শ্রিঘ্রই আসামী গ্রেফতার করা হবে এমটি জানিয়েছেন।