বোয়ালখালীতে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ নজরুল নামের এক ব্যক্তি
মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ, বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ বোয়ালখালীতে পাওনা টাকা নিতে গিয়ে ৫ দিন থেকে নিখোঁজ উপজেলার কধুরখীল এলাকার নজরুল ইসলাম (৫৬) নামে এক ব্যক্তি। নিখোঁজের পক্ষ থেকে ছেলে মিনহাজুল ইসলাম ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ২জনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম। আটকৃতরা হলেন, হাটহাজারী উপজেলার বটতলী এলাকার আমানউল্লা মিয়াজীর বাড়ির মৃত মৌঃ মুন্সি মিয়ার ছেলে আবদুস ছালাম (৫০), চরনদ্বীপ এলাকার মোনাফ সওদাগরের বাড়ির মনছুর আলীর স্ত্রী ফেরদৌস প্রকাশ রাজু(৩৫)কে অভিযান চালিয়ে আটক করেন। নিখোঁজ ব্যক্তি উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান কন্ট্রাক্টরের বাড়ির মৃত নুরুজ্জামান কন্ট্রাক্টরের ছেলে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের মোঃ নজরুল ইসলামের কাছ থেকে তার পীরের ছেলে তৈয়ব আলী (পিতা মরহুম মাহাবু শাহ/ফকির, মিয়া ফকিরের বাড়ী, উরকির চর, রাউজান, চট্টগ্রাম)। তার বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে ২২,০০০০০ লক্ষ(বাইশ লক্ষ টাকা)টাকা ধার নিয়েছিলো একবছর পূর্বে। এই টাকা উসুলের জন্য বার বার তার বাড়ীতে যাওয়া আসা করতো মোঃ নজরুল ইসলাম। অন্যান্য বারের মত গত ১৬ই ডিসেম্ভর’২০ তারিখে সকাল ৯টার সময় তার পাওনা টাকা খুজতে গিয়েছিলো পীরের ছেলে তৈয়বের কাছে। তারপর থেকে সে এখনো ঘরে ফিরে আসেনি। ঐদিন সকাল এগারোটা থেকে পীরের ছেলে তৈয়ব আলীর মোবাইলটি (০১৮১৯-৬৪৪৪১৬) কিছুক্ষন ব্যস্ত দেখায় এবং তার পর থেকে বন্ধ দেখাচ্ছে। নিখোঁজ নজরুলের মোবাইলটি বাড়ি থেকে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ মোঃ নজরুল ইসলাম কধুরখীল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মিনহাজুল ইসলামের পিতা বলে জানা গেছে। নিখোঁজ নজরুল ইসলামের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, উরকিরচর এলাকার মিয়া ফকিরের বাড়ির মরহুম শাহ ফকিরের ছেলে তৈয়ব আলী আমার বাবাকে পাওয়ানা টাকা দেবে বলে গত ১৬ ডিসেম্বর যেতে বলে সে থেকে পীরের ছেলে ও আমার বাবার মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি এবং সে থেকে নিখোঁজ রয়েছে। আমি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি আমার বাবাকে অক্ষত অবস্থায় যেন উদ্ধার করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সুমন কান্তি দে বলেন, “অপহৃত ব্যক্তি এখনো উদ্ধার হয়নি।” তবে অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি আবদুস ছালাম (৫০) ও ফৈরদৌস (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, আটকৃরা ঘটনার সাথে সম্পৃত্ত থাকার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।