নীলফামারী ডিমলায় তিস্তায় মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে ০১ এক জেলে নিখোঁজ,
মোঃ মাইনুল হক ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হল তিস্তা ব্যারেজ। যার অবস্থান নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা এবং লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা সীমান্ত। অর্থাৎ ডিমলা উপজেলা শেষ এবং হাতীবান্ধা উপজেলার শুরু। তিস্তা ব্যারেজের নিচে নৌকা নিয়ে মাছ মারতে যাওয়ায় জালছাপ দেওয়ার সাথে সাথে নৌকা থেকে জেলে পানিতে পড়ে এবং ডুবে যায়। গত (৮-ডিসেম্বর)মঙ্গলবার, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় ৫নং গেট এর নিচে প্রায় দুপুর ২:৩০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া জেলে এখনো নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম হল হেলাল হোসেন(১৯)। সে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন এর দোয়ানি গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের(৬০) ছেলে। তারা দুই ভাই তিন বোন। হেলাল হলো তৃতীয়তম। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এই ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এবং লোকজন আতঙ্ক হয়ে যায়। সেইসাথে হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ফোন দেওয়া হয় এবং নিকটবর্তী চেকপোস্ট ক্যাম্পে জানানো হয়। নিখোঁজ হেলালের বড় ভাই বেলাল হোসেন বলেন, আমার ছোটভাই হেলাল দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত মৃগী রোগে ভুগতেছেন। তার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু সংসারের দারিদ্রতার কারণে জেলের পেশা বেছে নিতে হয়। এই মাছ বিক্রি করে সংসার চলে। সে এখনো বিবাহ করেনি। বৃদ্ধ মা-বাবা রয়েছে বাড়িতে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এই ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক তিস্তা ব্যারেজের গেট গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে ভাটির দিকে নদীর পানি শুকিয়ে যায় এবং উজানের দিকে নদীর পানি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে গেটের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ফোন পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক (৩:০০মিনিট) ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। উদ্ধারের জন্য আমরা বিশেষ পথ অবলম্বন করেছি। সম্ভব না হলে দুজন ডুবুরিকে আনা হয় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আবারো নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোজা শুরু হয়। এর ফাকে জেলেরা নৌকা নিয়ে খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। দেওয়ানী চেকপোস্ট ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে আমরা এখনই ঘটনাস্থলে যায় এবং সাধারণ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি কে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। অপরদিকে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে অবস্থান করেন ডিমলা থানার ইনচার্জ অফিসার সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ)। তিনি এ ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে, হেলাল হোসেনকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, উদ্ধারের কাজ চলমান রয়েছে।