রায়পুর প্রত্যন্ত অঞ্চল খাসেরহাটে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সেবা পৌছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে
জিহাদ হোসাইন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: সবার আগে মার্কেটে আসার নায্য সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাংক এশিয়া স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে চুক্তি করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সংযুক্ত এজেন্ট শাখা খোলার অনুমতি লাভ করে। ফলে এজেন্ট শাখার ভারসাম্যপূর্ণ এবং সময়োচিত বিস্তৃতিকরণের সুফল তারা এককভাবে ভোগ করে বেশ কয়েক বছর। প্রতিটি মানুষের ব্যাংক হিসাব থাকা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের আর্থিক লেনদেন ও চাহিদা মেটাতে পারেন। তবে আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্ক ৫০ শতাংশ মানুষের হিসাব রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ৬ষ্ঠ এবং ১১শ শ্রেণীতে উপবৃত্তির জন্য নতুন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে অনলাইন স্কুল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলার কথা বলা আছে। রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী খাসেরহাট বাজারে সম্পূর্ণ অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়। এছাড়াও যেসব সেবা একাউন্টধারীরা পাচ্ছেন সেগুলো হল- সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাব,মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব,মেয়াদী সঞ্চয়ী হিসাব,নগদ জমা ও উত্তোলন ,ফান্ড ট্রান্সফার, ই এপ টি এন, বৈদেশিক রেমিটেন্স, বিদ্যুৎ বিল, পাসপোর্ট ফি, ক্ষুদ্র ও মাঝারী ঋণ, ভোক্তা ঋণ,কৃষি ঋণ, ডেবিট কার্ড ও ব্যাংকিং সকল কার্যক্রম। স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতিতে ব্যাংকের শাখার কাউন্টারে নগদ, চেক ও অ্যাকাউন্ট ডেবিটের মাধ্যমে অর্থ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিস্তার অবৈধ হুন্ডি তৎপরতা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন ব্যাংক এশিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ শাখার ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান সুমন। সংবাদ কর্মীদের তিনি জানান, আমাদের হাত ধরেই খাশেরহাট বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের যাত্রা। আমরা চেষ্টা করেছি দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে এজেন্ট ব্যাংকিং পৌঁছে দেয়ার।১৯৯৯ সালে একটি ‘সুন্দর আগামীর জন্য’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে ব্যাংক এশিয়া।এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করছি।একটি সুন্দর আগামীর স্বপ্ন নিয়ে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়াই আমাদের অভিপ্রায়। তথ্যানুযায়ী, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সাড়ে তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং। বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শীর্ষেও রয়েছে এ ব্যাংকটি। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার ওপর মানুষের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। করোনার কারণে অনেকে শাখা এড়িয়ে চলছেন। এ কারণে নতুন গ্রাহক ও আমানত বেড়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে।এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবাসীদের রেমিটেন্স সহজে পৌছে যাচ্ছে সবার সবার ঘরে ঘরে। সেই সাথে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।