আক্রমনের সমুচিত জবাবের সক্ষমতা অর্জন করবো : শেখ হাসিনা
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধ চায় না, তবে কেউ আক্রমণ করতে এলে তার সমুচিত জবাব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি অহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজসহ নতুন পাঁচটি আধুনিক জাহাজের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে এ আহ্বান জানান তিনি।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ত্রিমাত্রিক নৌ-বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধ করতে চাই না। জাতির পিতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেছেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি। কিন্তু বাংলাদেশ কখনও বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয় তাকে মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা আমরা অর্জন করতে চাই। তাই আমাদের সমুদ্রসীমা রক্ষার জন্য আমাদের নৌ-বাহিনীকে দক্ষ করে গড়ে তুলছি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়নি। সুনীল অর্থনীতির সম্পদ আহরণ ও কাজে লাগানোই সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় চেয়েছি সমুদ্রসীমা রক্ষা করা নয়, সমুদ্র সম্পদও যেন আমরা অর্থনৈতিক ভাবে অর্জন করতে পারি। তার জন্য আমাদের কাজ করতে হতে সে জন্য ব্লু -ইকোনমি ধারণা আমরা নিয়েছি এবং সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ভবিষ্যতে অন্য দেশের জন্য জাহাজ তৈরি করবে বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নৌ বাহিনী প্রধান জাহাজগুলোর অধিনায়কদের কাছে ফরমান তুলে দেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং মিয়ানমারের কাছ থেকে বিশাল সমুদ্র সীমা জয়ের পর প্রয়োজন হয়ে পড়ে অর্জিত সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা। তাই বাংলাদেশ নৌ বাহিনীকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলছে সরকার। এরই অংশ হিসাবে
একদিনেই নৌ বাহিনীর বহরে যুক্ত হলো ৩টি যুদ্ধ জাহাজের পাশাপাশি দুটি জরিপ জাহাজ।
এ সময় নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল শাহীন ইকবাল বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, সুদূর ভূমধ্যসাগরে, শান্তিরক্ষী মিশনেও আমাদের জাহাজ কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে।