যেভাবে পুলিশের জালে ইয়াবার কারবারিরা
প্রতিনিধি, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম ::::কক্সবাজার থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের পাঠানো ইয়াবা চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি। তবে চট্টগ্রাম শহরে ঢোকার আগে জানতেন না কার কাছে পৌঁছাতে হবে মাদক। এ যাত্রায় শহরে প্রবেশের আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সৈয়দুর রহমান(৩১)। সব জানার পর কক্সবাজারের মাদক সরবরাহকারীর সঙ্গে তাঁকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বলে পুলিশ। কথামতো সৈয়দুর মুঠোফোনে কক্সবাজারের সরবরাহকারীর কাছ থেকে চট্টগ্রামে মাদক পৌঁছানোর ঠিকানা নেন। সেই ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এক মাদক ব্যবসায়ীকে। মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ এখন কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ী চক্রকেও ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় ১ হাজার ৭০০টি ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সৈয়দুর। তাঁর কাছ থেকে ঠিকানা জেনে নগরের বায়েজিদ থানার অক্সিজেনের শীতলঝর্ণা এলাকার দীন আলমের (৪০) বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে পাওয়া যায় আরও ১১ হাজার ৭০০টি ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ১০ হাজার টাকা। অভিযানে দীন আলমকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ এখন কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ী চক্রকেও ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে
সৈয়দুর রহমান পুলিশকে জানিয়েছেন, ইয়াবা আনার সময় তিনি কখনো জানতেন না কার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সব কটি পুলিশি তল্লাশিচৌকি নিরাপদে পার হয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশের পর জানতেন প্রকৃত গ্রহীতাকে। এর আগে এভাবে দুইবার ইয়াবা পৌঁছে দিয়েছেন নিরাপদে। কিন্তু তৃতীয়বার এসে ধরা পড়লেন। তবে এবারও তিনি জানতেন না কার কাছে যাবে ইয়াবাগুলো। দীন আলম দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন এবং তিনি ইয়াবার ডিলার বলে পুলিশ জানায়।