

সোহেল খান দুর্জয়,নেত্রকোনা : কাজে দক্ষ, আচরণে মানবিক,বহুগুণের অধিকারী নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম। পুলিশ সুপারের চেহারায় মানবিকতার ছাপ। দুচোখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। কাজে দক্ষ, আচরণে মানবিক। চরিত্রে দৃঢ়তা ও সততার প্রতিচ্ছবি। পুলিশ বিভাগের এমন বহুগুণের অধিকারী হলেন মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম।বাংলাদেশ পুলিশের নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
দেশের যে কজন পুলিশ কর্মকর্তার সততা, দক্ষতা ও মানবিক গুণে পুলিশের প্রতি মানুষেরই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হচ্ছে মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম তাদের একজন। মেধা ও মননের সবটুকু দিয়েই কর্মজীবনকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারেন মহৎ গুণের অধিকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা। নিজের পরিবারের মতই কর্মক্ষেত্রেও সহকর্মী এবং অধিনস্তদের প্রতি সহায়কের ভূমিকা পালন করেন তিনি। এখনও মানবিককতার সেই চেতনা বুকে লালন করে সমৃদ্ধ দেশ গড়ায় এগিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলে ও নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার মির্জা সাহেব মাহমুদ পিপিএম সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন।তিনি (২২সেপ্টেম্বর ২০২৪) তারিখ নেত্রকোনায় হিসেবে পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদানের পর থেকে জেলার আইন শৃঙ্খলা সহ পুলিশের সকল কার্যক্রম বদলে যেতে শুরু। এই পুলিশ সুপার জেলার সকল থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ দক্ষ পুলিশ সুপার হিসাবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন।। তার চোখে ধনী-গরিব, ভ্যান চালক হতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ সমান।তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনছেন এমনটা জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও পুলিশ সুপারের কাছে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন মানুষের সাথে সাথে কথা বলে জানা যায়।
তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অবদান রেখেছেন। পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ নেত্রকোনায় কর্মরত আছেন ১০ মাস। জানা গেছে,পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন। তিনি তার কর্মদক্ষতার কারণে নেত্রকোনার সাধারণ জনগণের কাছে উপাধি পেয়েছেন মানবিক পুলিশ সুপার।
তাঁর দায়িত্বরত জেলার একাধিক সাধারণ মানুষ বলেন, তিনি আমাদের বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের এলাকা মাদক, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ইভটিজারের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী, জঙ্গি, মিথ্যা মামলায় হয়রানী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অনেকটাই মুক্ত। তারা আরো বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ সুপার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য। তাকে যে কোনো সময় যে কোনো মুহূর্তে তাকে ফোন করলে পাওয়া যায়। তারা এই কর্মকর্তার মঙ্গল কামনা করার সাথে সাথে ভালো কাজের শত্রু বেশি থাকায় সকল বিপদ থেকে মুক্তি কামনা করেন।
পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম বলেন, মানবসেবার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম পুলিশের চাকরি। সেবার মনোভাব নিয়ে নিজেকে জনসম্পৃক্ত রেখেই আমাদের কাজ করতে হয়।তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে তাদেরকে হেফাজত করতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে কতটুকু পেরেছি সেটা জনগণই ভালো বলতে পারবেন। তিনি বলেন, আমি সবসময় জনগণের জান মাল রক্ষার্থে কাজ করছি। আলোকিত সমাজ ও আলোকিত মানুষ গড়তে হলে আগে নিজেকে আলোকিত করতে হবে। সমাজকে আলোকিত করার মহান ব্রত নিয়েই এগিয়ে চলেছেন পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। আলামিন ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম যোগদান করার পর পুলিশ জনতার এ কথাটির প্রমাণ তিনি রেখেছেন। তিনি জেলার মাদক, ছিনতাই,সন্ত্রাস আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ সফলতা অর্জন করেছেন। এজন্য অপরাধীরা এই পুলিশ সুপারের প্রতি নাকচ।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু বলেন, তিনি দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে সরকারি দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে যে আস্থা ভালবাসা অর্জন করেছেন। তিনি জেলার প্রতিটি থানাকে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। সুদক্ষ, মেধাবী ও চৌকস এই পুলিশ সুপারের দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি। জেলার একাধিক মানুষের অভিমত পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএমের সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, জীবন সংগ্রামকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য প্রয়োজন সঠিক মানুষের সঠিক পুলিশ অফিসারের। যে দিন বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় একজন করে এমন পুলিশ সুপারের মতো সৎ পুলিশ অফিসার থাকবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর এবং শান্তিময় দেশ।