দূর্যোগে মনষত্বের পরিক্ষা হয়,মানবতার ফেরিওয়ালা গোলাম রাব্বানী
সাইফুল ইসলাম তাহসান : মানবতার ফেরিওয়ালা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী, সমাজের অভুক্ত, গৃহহীন,রাস্তা পড়ে থাকা, না খাওয়া মানুষদের প্রতিদিনই বিভিন্ন পন্যদ্রব্যদিয়ে তাদের পাশে দাড়াচ্ছেন নিজের সাদ্ধ্যমতো, সে মানবিক গোলাম রাব্বানী সময়উপযোগী কথা তুলে ধরেছেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভেরিফাই ফেসবুক আইডিতে, সেটি পাঠকের উদ্দেশ্যে হুবহ তুলে ধরা হলো:করিতে পারি না কাজসদা ভয়, সদা লাজ,সংশয়ে সংকল্প সদা টলেপাছে লোকে কিছু বলে!…….হৃদয়ে বুদবুদ মতোউঠে শুভ্র চিন্তা কত,মিশে যায় হৃদয়ের তলেপাছে লোকে কিছু বলে।…….মহৎ উদ্দেশ্যে যবেএক সাথে মিলে সবে,পারি না মিলিতে সেই দলেপাছে লোকে কিছু বলে!কামিনী রায়ের কবিতাটা বর্তমান সময়ে খুবই প্রাসঙ্গিক। মানুষ কি বলবে, কি ভাববে, খোঁচাবে, ট্রল করবে এসব হাবিজাবি ভেবেই অনেক ভালো চিন্তা করা, ভালো মনের মানুষ, ভালো কাজে অংশ নিতে পারে নাহ!সুহৃদ, এসব অর্বাচীন নাদানদের একদম পাত্তা দেয়ার দরকার নেই, কিছু মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্যই যে এমন! নিজে ভালো কাজ করবে না, অন্য কেউ করতে গেলে নেতিবাচক কথা বলে নিরুৎসাহিত করতে চাইবে।আর বাঙ্গালির আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বয়ং বলেছেন, ‘পরশ্রীকাতরতা ও বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে।’মানুষকে সাহায্য করতে গেলে শুনতে হয়- শো-অফ, লোকদেখানো, রাজনীতি ব্লা, ব্লা। অনেক পন্ডিত আবার হাদিসের রেফারেন্স দেন, দান গোপনে করতে হয়, প্রকাশ্যে নয়! হ্যাঁ, গোপন দান অবশ্যই উত্তম, তবে সেটা স্বাভাবিক সময়ে, যখন ভুক্তভোগী এক-দুজন বা কম।এখন সময়টা অস্বাভাবিক, দুর্যোগকালীন। মানুষ অসহায়, দিশেহারা, ক্ষুধার্ত। আর ভুক্তভোগীও পাঁচ,দশ বা শত নয়, লাখো লাখো!তাই, এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্য দানই অধিক জরুরি ও প্রাসঙ্গিক। এতে একজনকে দেখে অন্যজন উৎসাহী হবে, তাদের দেখে আরো অনেকে, এভাবে সংখ্যাটা জ্যামিতিক হারে বাড়বে।পবিত্র কুরআনে সূরা বাকারার, ২৭৪ নাম্বার আয়াতে আল্লাহু সুবহানাহু তায়ালা, প্রকাশ্যে দান সম্পর্কে বলেন, “যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে ও দিনে, প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে ব্যয় করে থাকে, তাদের জন্য সেই দানের সাওয়াব তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে এবং তাদের কোন ভয় নেই। তারা চিন্তিতও হবে না।”মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনার আমার ভিতর-বাহির, প্রকাশ্য-গোপন সব জানেন। তাঁর কাছে বান্দার তাকওয়াপূর্ণ উদ্দেশ্যই আসল। আর সৎ উদ্দেশ্যে দানকারীর উত্তম প্রতিদান দিতে তিনি স্বয়ং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রিয়নবী মহানবী সঃ বলেন, ‘অভাবগ্রস্থ যে মতাবলম্বী হোক না কেন, তোমরা তাদেরকে সাদাকাহ প্রদান করো। যখন তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে দান করবে, দান গ্রহীতা যে কেউ হোক না কেন, তুমি তার পূর্ণ প্রতিদান লাভ করবে।’ (তাফসির ইবনে আবু হাতিম)সুতরাং কে কি বললো, ভাবলো এসব তুচ্ছজ্ঞান করে এই দুর্যোগকালীন সময়ে ভালো মনের মানুষগুলোকে আর্ত মানবতার সেবায় নিঃশঙ্কোচে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্যোগেই মনুষ্যত্বের পরীক্ষা হয়।