বিদেশে অহরণের নাটক সাজিয়ে দেশে মামলা, প্রতিবাদ ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম সৌদি আরবে থাকেন। মাটি কেনার কথা বলে ভাইরা ভাই কৃষি উদ্যোক্তা জহরুল ইসলামের কাছে ১৮ লাখ টাকা ধার নেয়। পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পাওনা টাকা না দিতে প্রবাসে থাকা মনিরুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে মামলা করা হয়। সেই মামলায় জহরুল ইসলামসহ ৩ জন কারাগারে রয়েছেন। অথচ প্রবাসে মনিরুল ইসলাম তার কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে, টিকটক করছে, এর প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে।
অপহরণ মামলার আসামী জহরুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি খাতুন আরও বলেন, গত এক বছর আগে মনিরুল ইসলাম আমার স্বামীর কাছে জমি কিনবো বলে ১৮ লাখ টাকা ধার নেই চাচাতো দুলাভাই সৌদি আরব প্রবাসী মনিরুল ইসলাম৷ এরপর ৫ মাস পর ২ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি ১৬ লাখ টাকা টাকা তার কাছে পাওনা থাকে। দিব দিচ্ছি বলে দীর্ঘদিন ধরে নানা রকম টালবাহানা করে। এমন ভাবে চলতে চলতে টাকা চাওয়া নিয়ে মনিরুল ইসলামের স্ত্রীর ভাই মিজানুর রহমানের (আমার চাচাতো ভাই) সাথে আমার স্বামীর ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই সূত্র ধরে আমার স্বামীকে মিজানুর রহমানের বাড়ির সামনে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করে। নিয়ে আমরা মামলা করি। যা এখনো চলমান।
তিনি আরও বলেন৷ মামলায় কুলকিনারা করতে না পেরে ও টাকা না দেয়ার জন্য উল্টো আমার স্বামীর নামে মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি মানব পাচার মামলা করেন মিজানুরের বাবা ও প্রবাসী মনিরুল ইসলামের শশুর মঞ্জুর ইসলাম। মিথ্যা মামলায় তারা অভিযোগ করেছে, আমার স্বামী নাকি পাওনাদার মনিরুল ইসলামকে প্রবাসে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অথচ আমার স্বামী জহুরুল ইসলাম দেশেই রয়েছেন। মনিরুল ইসলাম নিজে নিজেই কয়েকজনকে নিয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ছবি পাঠিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যে মামলায় আদালত আমার স্বামীসহ মোট ৩ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। অথচ মনিরুল ইসলামের কর্মক্ষেত্রের টাইম সিডিউল রয়েছে আমাদের হাতে। সে স্বাভাবিকভাবে তার কর্মক্ষেত্র কাজ করে যাচ্ছে।
মিথ্যা অপহরণ মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামলার আসামী জহরুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি খাতুন, ভাই জিয়ারুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।