শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামীকে গুলির পর কুপিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা!!

Share the post
রিপোর্ট:শাহরিন ইসলাম (রাবি প্রতিনিধি) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে এবং কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে নগরের বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪০)। তার বাবার নাম আজিজুল ইসলাম। রবিউল আওয়ামী লীগের কর্মী। বাড়ি নগরের বিনোদপুর-মীর্জাপুর এলাকায়।
তার ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনিও শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামি।
নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, রাতে পঞ্চবটি এলাকায় রবিউলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া তাকে গুলিও করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। কয়েকজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে আবার মোটরসাইকেলেই চলে গেছে।
ঘটনার পর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রবিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে তাকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। রাতে তার অস্ত্রোপচার চলছিল।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে কোপানো হয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রবিউল ইসলামের নামে মোট পাঁচটি মামলা আছে। এরমধ্যে রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলারও আসামি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাবি ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী নিহত হন।
এ মামলায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ নিজ বাড়িতেই হামলার শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম। সেদিন কয়েকজন যুবক বাড়িতে ঢুকে শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেন এবং দুই পায়ের রগ কেটে দেন।
তার বাড়িতে থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও মির্জাপুর নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল হোসেনও আহত হন।
তাদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন। সেদিন মাইনুলকেও কোপানোর পাশাপাশি তার বাম হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

সরকারি স্বীকৃতি পেল রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এডুকেশন ক্লাব 

Share the post

Share the post সৈয়দ মাহিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  প্রতিনিধি :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংগঠন রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এডুকেশন ক্লাব (RUEC) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃক ‘গ’ শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাব হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ১৯ জুলাই ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে এই নিবন্ধন ১৯ জুলাই ২০৩০ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি শুরু থেকেই  শিক্ষার্থীদের […]

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল ‘নাপা সেন্টার’

Share the post

Share the post সৈয়দ মাহিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের  এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। চিকিৎসা কেন্দ্রের অবহেলা ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা রাবি মেডিকেল সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে ‘নাপা সেন্টার’ ব্যানার টাঙিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে […]