প্রথমবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় বিজিবি
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির ৪ হাজার সদস্য সেনাবহিনীর সঙ্গে যৌথ শীতকালীন প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।
সংস্থাটির মহাপরিচালক বলছেন, এর ফলে যে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিজিবি দেশরক্ষার দায়িত্ব পালনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি বাড়বে বিজিবি সদস্যদের মনোবল ও দক্ষতা।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী যুদ্ধকালীন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দেশ রক্ষার লড়াই করবে। আইনে বলা এ নির্দেশনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা প্রথমবারের মতো হাতে কলমে শিখছেন বিজিবিতে ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে কর্মরত সদস্যরাও। ভৈরবের আলুকান্দার মতো এ প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে সারা দেশে ছড়ানো বিজিবির ৫টি রিজিওনে। আর তাতে অংশ নিচ্ছে সংস্থাটির ৬টি ব্যাটালিয়ন অর্থাৎ ৪ হাজার সদস্য।
বিজিবির এক সদস্য বলেন, আমি ২৫ বছর চাকরি করি। তবে এ ধরনের প্রশিক্ষণ এবারই প্রথম। ফলে যুদ্ধের বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমাদের।
যৌথ প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করে রণ প্রস্তুতির নানা কৌশল বাতলে দেয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের সুখ দুঃখের খোঁজ খবরও নেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। তার কাছে প্রশ্ন ছিল কেনো এ ইতিহাস গড়া যৌথ প্রশিক্ষণ?
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিজিবির সমন্বয়ের প্রয়োজন। সেটাই এ প্রশিক্ষের মূল উদ্দেশ্য। সব প্রশিক্ষণের ব্যাপারেই আমরা জোর দিচ্ছি।