মোহনগঞ্জে ব্যবসায়ীকে মারধর করে দোকানের মালামাল লুট, থানায় মামলা
সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মামুন মিয়া নামে এক লরি ও মেশিনারিজ ব্যবাসায়ীকে মারধর করে দোকানে থাকা মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এসময় দোকানের সামনে থাকা একটি লরি গাড়িও নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এতে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন, উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আকিকুল (৪০), ফয়সাল আহমেদ খোকন (৩৮), সোহেল রানা (৩২), সোহাগ রানা (২৭) ও পানুর গ্রামের মোজাম্মেল (৩৮), আনোয়ার (৪০), রনি (৩৫), সোহান (২৭), জসিম উদ্দিন কলি (৩৭), হাফিজুর (২৫), সুমন (২৬), ফাহিম (২০), খোকা (২২), জসিমসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জন।
পৌরশহরের নওহাল এলাকায় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের অদূরে থাকা মামনুন এন্টারপ্রাইজ নামে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ৩০ আগস্ট এ হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে। এদিনই রাতে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মামুন মিয়া। ব্যবসায়ী মামুন মিয়ার বাড়ি উপজেলার বিরামপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিমি পৈরশহরের টেংগাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। মামুন মামলার অভিযোগে মামুন মিয়া জানান, গত ৩০ আগস্ট সকালে মামুন এন্টারপ্রাইজ নামক লরি ও মেশিনারিজ দোকানে বসা ছিলাম। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা একত্রে আমার দোকানে ঢুকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লোহার রড ও হকিস্টিকসহ দেশী অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। সেইসাথে দোকানে থাকা ৫ লাখ টাকার মেজিনারিজ পার্টস লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ক্যাশ ড্রয়ারে তালা ভেঙে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। কয়েকজন মিলে দোকানের সামনে থাকা একটি লরি গাড়ি নিয়ে যায়। লরিটির মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রাণ নাশের চেষ্টায় মাথায় সজোরে আঘাত করে, তবে সরে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই। তবে মাথায় বিরাট আঘাত পাই। চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন চলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করেছি। তবে হামলাকারীরা এখনো হুমকি অব্যাহত রেখেছে। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই মামলায় আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।