বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সন্দ্বীপ পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের বর্নাঢ্য আয়োজন
সন্দ্বীপ প্রতিনিধি: সন্দ্বীপে পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগ মহাকালের মহাননেতা,বিশ্ব বন্ধু খ্যাত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বর্নাঢ্য কর্মসুচী পালন করেছে।কর্মসুচীর মধ্যে ছিলো সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন, সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন।

পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডস্থ মোমেনা সেকান্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভা আওয়ামীলিগের সভাপতি মুক্তাদের মাওলা সেলিম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামীলিগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আলাউদ্দীন বেদন,মুক্তিযুদ্ধা আবু হেলাল চৌধুরী ও পৌর কমিশনার আলাউদ্দীন বাবলু।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সভাপতি আব্দুল বাতেন। সাংগঠনিক সম্পাদক মহব্বত বাঙ্গালীর উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরসভা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাকছুদুর রহমান জাবেদ, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাদল রায় স্বাধীন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বাংলার চারন কবি শাহ-বাঙ্গালীর পুত্র দিদার বাঙ্গালী,সবিতা গুহ,পলি রানী নাথ ও অন্যান্য শিল্পী বৃন্দ।
আলোচনা সভায় পৌরসভা আওয়ামীলিগ সভাপতি মুক্তাদের মাওলা সেলিম বলেন বঙ্গবন্ধুর চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তার সেই চেতনা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। এমনকি তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করে বিচার কাজ বন্ধ করে দেন।আজ তার কন্যার হাতে ক্ষমতা তাই শেখ হাসিনার ডাকে আমরা দেশমাতৃকা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
উপজেলা আওয়ামীলিগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আলাউদ্দীন বেদন বলেন বঙ্গবন্ধু যা ভাবতেন তা বাস্তবায়ন করতেন। তখন তিনি তার জীবন নিয়ে চিন্তা করতেন না। কিন্তু আজ অনেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গ্রহণ না করে তার অনুসারী হয়েছেন মাত্র। ফলে তারা বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ তম জন্মদিন। তিনি সারা জীবন মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৪৭ সালে যখন দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেল তখনই তিনি বলেছিলেন বাঙালিদের কপালে দুঃখ আছে। আর সে সময় থেকেই তিনি বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।