এস.এম.জয়, বগুড়া থেকে: বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা জানাতে পারেননি তার নিজ জেলা বগুড়ায় ওই দলটির নেতৃবৃন্দ। রবিবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে দলটির বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ‘যখন সময় হবে তখনই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।’ বগুড়া জেলা ডায়াবেটিক সমিতি গঠিত আহবায়ক কমিটিতে ডা. মামুনুর রশিদ নামে এক বিএনপি নেতার নাম গণমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেই বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ডা. মামুনুর রশিদ মিঠু দাবি করেন, তাকে না জানিয়েই আহবায়ক কমিটিতে তার নাম যুক্ত করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে ফেরাসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন।
তারেক রহমান বগুড়া জেলা বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির ২নং সদস্য। ১নং সদস্য হলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অনুমোদিত বগুড়া জেলা বিএনপি’র নির্বাহী কমিটিতে দলের জেলা নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার কন্যা জাইমা রহমানকে সদস্য পদে রাখার প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ড তাতে সম্মতি দেয়নি। ২০২৩ সালের এপ্রিল বগুড়ায় অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজশাহী বিভাগীয় ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিতে গিয়ে তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘ইনশাআল্লাহ্ আগামী রজমানে (২০২৪ সালের ১২ মার্চ থেকে রমজান শুরু হয়) আমি আপনাদের ইফতারে অংশ নিব।’ তাঁর সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে এক সাংবাদিক জানতে চান, দেশে ফেরা নিয়ে বগুড়ায় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তারেক রহমানের কোন কথা হয়েছে কি’না এবং তিনি কবে ফিরবেন? জবাবে বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে নির্দেশে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। তিনি দেশে কবে ফিরবেন এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তবে আমরা বিশ^াস করি যখন সময় হবে তখনই তিনি দেশে ফিরবেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বগুড়ায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহারে দলের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কি’না-এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ‘ এ বিষয়ে অন্তর্বতীকালীন সরকারের নির্দেশনা প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে, দখল, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকাÐের বিরুদ্ধে বিএনপি’র জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে বলা হয়, দলের কোন নেতা বা কর্মী বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। এখন পর্যন্ত ৯জনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদেরকে দলীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা, শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু ও দলের জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল উপস্থিত ছিলেন।