নতুন অধিনায়কের মনের সুপ্ত বাসনা, বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সেরা তিনে নিয়ে যাওয়া
অনলাইন ডেস্ক:
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফি।তার রেখে যাওয়া শূন্যস্থান পূরণে নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালকে।
মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল নিজেদের সেরা র্যাংকিং দেখেছিল ষষ্ঠ অবস্থান। লম্বা সময় ছয়ে থাকা হয়নি টাইগারদের। তবে নিজেদের নামের পাশা প্রায় স্থায়ীভাবে লেগে থাকা ‘নবম দল’ ট্যাগ সরিয়ে সেটিকে সাত নম্বরে উন্নীত করতে পেরেছে অধিনায়ক মাশরাফি ও তার দল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফি। এখন থেকে তিনি খেলবেন সাধারণ অধিনায়ক হিসেবে। তার রেখে যাওয়া শূন্যস্থান পূরণে নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালকে।
নতুন অধিনায়কের মনের সুপ্ত বাসনা, বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সেরা তিনে নিয়ে যাওয়া। তবে এ কাজটি মোটেও সহজ নয়, তা বেশ ভালোই জানা তামিমের। তাই এখনই নিজের লক্ষ্য হিসেবে দলকে সেরা তিনে ওঠানোর কথা বলছেন না তামিম। বরং জানিয়েছেন, তিনে ওঠার জন্য দলের করণীয় আসলে কী হওয়া উচিৎ।
আজ (শনিবার) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগের দিন নিজ ক্লাব দল প্রাইম ব্যাংকের অনুশীলনে এসে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘স্রেফ বলার জন্য বলতে চাই না, আমরা যদি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরে যেতে চাই, তাহলে কষ্ট করে ঘাম ঝরিয়েই যেতে হবে। হুট করে নয়। একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং কঠোর পরিশ্রম করেই যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে ছোট বিষয়গুলো কিভাবে উন্নত করা যায়, ট্রেনিং কিভাবে আরও ভাল করতে পারি, দল হিসেবে আরও কিভাবে খেলতে পারি- এসব নিয়ে ভাবতে হবে। দলের প্রতিটি সদস্যকে ভাবতে হবে একজন আরেকজনের জন্য কিভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। একজন আারেকজনের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এগুলো দিয়েই শুরু। এরপর সেরা তিনে ঢোকাটা আসলে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।’
দায়িত্ব প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস আছে, পাশাপাশি তার দায়িত্ব সচেতনতাও অনেক। এমন সময় সবাই রঙিন চিন্তায় ডুবে থাকেন। কিন্তু তামিম একদম বাস্ততবাদি। তার চিন্তা ও দর্শন আক্রমণাত্মক। মাঠের ড্যাশিং উইলোবাজ তামিম, অধিনায়ক হিসেবেও হতে চান আক্রমণাত্মক।
তাই অধিনায়কত্ব পেয়ে বড়সড় কিছু করার আগে তামিম চান মাঠের বাইরের সব কাজগুলো ঠিকঠাক মত করতে এবং এখন যে অবস্থায় আছে দল, তার চেয়েও ভালভাবে করতে। তার ভাষায়, ‘আমার কাছে মনে হয় অন দ্য ফিল্ড অনেক কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। কিছু বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। সবার আগে হলো টিম কালচার। দলের কালচার আমরা কিভাবে চিন্তা করছি। আমরা কতটা পেশাদার। এগুলো নিজেদের হাতে। আমার প্রথম কাজ হবে, আমরা ঐ জায়গায় কিভাবে উন্নতি করতে পারি। আমরা যদি মাঠের বাইরে কাজগুলো ভালোভাবে করতে পারি, আরও বেশি শৃঙ্খল হই, আরও হার্ডওয়ার্ক করতে পারি, আরও কম ভুল করি- তাহলে রাতারাতি না হলেও উন্নতি আসবেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কথায় বলে না, কষ্টের পর একসময় ঠিকই ফল পাওয়া যায়- তাই আমার লক্ষ্য অফ দ্য ফিল্ডের ইস্যুগুলোকে কিভাবে আরও ভালো করা যায়। তার মানে এই নয় যে অফ দ্য ফিল্ড আমাদের সমস্যা আছে বা ডিসিপ্লিন কম। তেমন ভাবার কোনো কারণ নেই। আমরা যথেষ্ঠ ডিসিপ্লিনড। আমার মনে হয় ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ডিসিপ্লিনড দল আমরা। আরও বেটার কীভাবে হতে পারি। সে চেষ্টাই থাকবে।’
দলের সব সদস্যের উন্নতির সমান প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবতে চান তামিম, ‘শুধু জুুনিয়র না সিনিয়রদেরও উন্নতি করার জায়গা আছে। লিটন দাস ৬ মাস আগে যেভাবে চিন্তা করতো, এখন চিন্তাধারা অনেক বদলে গেছে। সে ভাল করেছে বলে বলছি না। আগের সময়ের সাথে তার ফারাক। যার ফল আপনারা মাঠেও দেখছেন। আমার যেমন উন্নতির দরকার আছে, একইভাবে তরুণদেরও আছে।’