ইকবালের কাজে মর্মাহত তারপরিবার
কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে দেখা ইকবালকে ধরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। ইকবালের কাজে তারা মর্মাহত বলেও দাবি করেছে। তার দায়িত্ব নিতে রাজি নন পরিবারের কেউ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নূর আহমেদ আলমের তিন ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় ইকবাল।বুধবার রাত ৯টার দিকে কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিকোনা সাহাপাড়ায় ইকবালের পরিবারের ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায় ঘরটি তালা।
পরে বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নানুয়ার দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকেই এ পরিবারের লোকেরা বাসায় অনিয়মিত ছিলেন। ইকবালকে কখনো বাসাটিতে দেখেননি বলেও দাবি করেন তারা।ঘটনার পর থেকে বাবা নূর আহমেদ আলম ও ছোট ভাই ছোটনকে নিয়ে ইকবালকে খুঁজছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ইকাবালের মামা তাজির ইসলামও আছে পুলিশের কাছে। এরপর থেকে পরিবারের অন্য সদস্যরা; ইকবালের বোনের বাসায় অবস্থান করছেন।
ইকবালের ছোট ভাই রায়হানকে সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজ দেখালে- সে নিশ্চিত করে এটি তার বড় ভাই ইকবাল। পূজামণ্ডপের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ইকবালকে ধরিয়ে দেয়ার জানান তার মা বিবি আমেনা।কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়েই এই যুবককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে এবং পুলিশের সংগ্রহে থাকা আরও কিছু সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এই ঘটনায় জড়িত সবার অপরাধ প্রমাণে সহায়ক হবে।