ধর্ষণ মামলায় আটক রোনালদোর সতীর্থ
তবে এতদিন গোপন থাকায় ফুটবল ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন এই ডিফেন্ডারকে কিনতেও চেয়েছিল। তবে সে পরিকল্পনা বেশি দূর এগোয়নি অতীত রেকর্ড জানাজানি হয়ে যাওয়ায়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার অতীত পাপ।এরপর মৌসুম শুরু হওয়ার পর সে আলোচনাও আড়ালে চলে গিয়েছিল। তবে এবার নতুন করে আবারো বিতর্কে জড়ালেন এই সেন্টারব্যাক। এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পর্তুগিজ এই ফুটবলারের বিরুদ্ধে। যে অভিযোগে রোনালদোর এই সতীর্থকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে গ্রিসের পুলিশ।সেমেদোর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ২০২০ সালে। স্পেনের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে পুরোটা সময়ই মাঠে ছিলেন। খেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। ২০১৯ সালে ডাকাতি, অপহরণের মতো বড় বড় সব অপরাধের দায় মেনে নিয়ে তিনি স্পেন ছেড়ে গ্রিসে চলে যান। সেখানেও বিতর্ক এড়াতে পারলেন না।
অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেমেদোর বিপক্ষে। বর্তমানে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে খেলা এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে সেই কিশোরী। কর্তৃপক্ষ দেরি না করে দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে বাদীর অভিযোগ, ফুটবলারের বাসায় এ ঘটনা ঘটেছিল। ওরোপোস শহরে একবার সেমেদোর সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার। সেখানে দুজনে উত্তেজক কিছু পান করছিলেন। যদিও মেয়েটির দাবি, তাকে জোর করে মদ্যপ বানিয়েছেন সেমেদোই। এরপর মাতাল অবস্থায় তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথম সেমেদোর কুকীর্তির ব্যাপারে জানা যায়। সেখানে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভ্যালেন্সিয়ার একবারের ঘটনা নিয়ে আদালতে যেতে হয়েছিল তাকে। সেখানে নাকি পিস্তল বের করে হুমকি দিয়েছিলেন সেমেদো। এরপর আরেকটি ভিন্ন ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন সেমেদো। এবারের অভিযোগ আরো গুরুতর। এক ব্যক্তিকে দুজন সহযোগীসহ ঘরের মধ্যে আটকে রাখা এবং অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এরপর আবার ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে চুরিও করেছিলেন।