প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই
বাংলা ভাষার সুপরিচিত একজন কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ ভারতের কলকাতায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। তিনি কোভিড-১৯ পরবর্তী জটিলতা নিয়ে কলকাতা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালিতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এ ছাড়া তাঁর লিভার ও কিডনিতেও সমস্যা ছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তির পর আবারও কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল তাঁর। তবে তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব বয়সজনিত নানা সমস্যাতেও ভুগছিলেন।
১৯৩৬ সালের ২৯শে জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন মি. গুহ। তাঁর শৈশব কেটেছে বাংলাদেশের বরিশাল ও রংপুরে। তাঁর শৈশবের নানা অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে তাঁর লেখালেখিতে উঠে আসে। তাঁর লেখা উপন্যাস ও ছোটগল্পগুলো ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি আনন্দ পুরস্কার-সহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মাধুকরী ছাড়াও তার পাঠকপ্রিয় উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘কোয়েলের কাছে’ ও ‘সবিনয় নিবেদন’।
বুদ্ধদেব গুহ পেশায় ছিলেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। এছাড়া ধ্রুপদী সঙ্গীত ও ছবি আঁকায় দক্ষতা ছিল তার।বুদ্ধদেব গুহর প্রথম উপন্যাস ‘জঙ্গলমহল’। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’, ‘পঞ্চ প্রদীপ’, ‘কুমুদিনী’, ‘কুসুম’, ‘বাতিঘর’, ‘ভাবার সময়’, ‘নিবেদন’, ‘পরিযায়ী’, ‘চাপরাশ’, ‘রাগমালা’, ‘হাজারদুয়ারী’, ‘আয়নার সামনে’, ‘অবন্তিকা’, ‘বইমেলাতে’, ‘বাসনা কুসুম’, ‘চন্দ্রায়ন’, ‘বনবাসর’, ‘সাজঘর’। কিশোর সাহিত্যেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর সৃষ্ট ঋজুদা বা ঋভুর মতো চরিত্র পাঠকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে।